আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (12 points)
edited by

হিন্দুদের মূর্তিপূজা দেখা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?

যেসব মুসলমান হিন্দুদের মূর্তি পূজা  দেখতে যায়, রাতভর তাদের অনুষ্ঠানে শুনে (যেখানে অশ্লীল নাচ-গান ও চলে ), আবার কেউ দোকান নিয়ে যায় --

১. এদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি ?
এরা কি ধরণের গুনাহ করলো ?  শিরিক মুক্ত কবিরা গুনাহ নাকি শিরিক যুক্ত ? শিরিকে আসগর নাকি আকবর ?

২. মূর্তি পূজায় চাঁদা চাইলো  এমন অবস্থায় নিজেকে মুসলিম দাবি করা ব্যক্তি চাঁদা দিলো -
সে কোন ধরণের গুনাহ  করলো ?

৩. যে মুসলিম জানে যে মূর্তিপূজায় চাঁদা দেওয়া যাবে না , সে কিভাবে মূর্তিপূজক কে না করবে ?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا                                 

নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। সূরা নিসা, ১১৬


https://ifatwa.info/5573/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছে-

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "

তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত, নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে, না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।

এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর। (সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে, এটা আমাদের ধর্ম থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি, আমিও এমন করতে চাই, বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলো না? তাহলে ঈমান চলে যাবে। আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা হয় কিন্তু অন্তরে পূজাকে ঠিকই গৃনাহ করা হয় বা পূজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়, তাহলে তার আসল (ত্রুতিপূর্ণ)ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে, যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1982


পূজাকে উদ্ভোধনের অর্থ যদি এটা হয় যে, কেউ উপস্থিত হওয়ার পর হিন্দু ধর্মগুরুরা পূজা শুরু করবে, তা হলে এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। যদি সে পূজাকে সম্মান করে এবং উত্তম মনে করে উদ্ভোধনে যায়, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। আর যদি রাজনৈতিক স্বার্থে সেখানে কেউ যায়, তাহলে যদিও ঈমান যাবে না, তবে তার ঈমান দুর্বল বলে প্রমাণিত হবে। এমন পথে না হাঁটাই একজন মুসলমানের জন্য কাম্য ও উচিৎ। কিন্তু যদি কেউ পূজার নির্দিষ্ট কিছু কাজে শরীক হয়ে এর মাধ্যমে পূজাকে উদ্ভোধন করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।


২. পূজাতে যদি টাকা দেওয়া জায়েজ মনে করে দেয় তাহলে অবশ্যই তার ঈমান চলে যাবে। কারণ, শিরকী কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা, আয়াত ২)


৩. তাকে জানিয়ে দিবে যে, ইসলামে এটা জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...