বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِنَّ
اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ
يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে
কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত
হয়। সূরা নিসা, ১১৬
https://ifatwa.info/5573/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছে-
ﻋﻦ
ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ
ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ
ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ
ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত, নবীজী সাঃ বলেনঃ
তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন তা হাত
দিয়ে, না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।
এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর। (সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. পূজা দেখে উপভোগ করার অর্থ যদি এমন হয় যে, এটা আমাদের ধর্ম
থেকে উত্তম প্রার্থনা পদ্ধতি,
আমিও এমন করতে চাই, বা আমাদের ধর্মে কেন এমন হলো না? তাহলে ঈমান চলে
যাবে। আর যদি এমন না হয়, বরং পুজায় সংগঠিত ঘটনা বা তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উপভোগ করা
হয় কিন্তু অন্তরে পূজাকে ঠিকই গৃনাহ করা হয় বা পূজাকে নিজের জন্য অপছন্দ করা হয়, তাহলে তার আসল
(ত্রুতিপূর্ণ)ঈমান অবশ্যই বাকী থাকবে, যদিও তার মধ্যে কামিল ঈমানের লেশমাত্রও বিদ্যমান থাকবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1982
পূজাকে উদ্ভোধনের অর্থ যদি এটা হয় যে, কেউ উপস্থিত
হওয়ার পর হিন্দু ধর্মগুরুরা পূজা শুরু করবে, তা হলে এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। যদি সে পূজাকে সম্মান করে
এবং উত্তম মনে করে উদ্ভোধনে যায়,
তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। আর যদি রাজনৈতিক স্বার্থে সেখানে কেউ
যায়, তাহলে যদিও ঈমান যাবে না, তবে তার ঈমান দুর্বল
বলে প্রমাণিত হবে। এমন পথে না হাঁটাই একজন মুসলমানের জন্য কাম্য ও উচিৎ। কিন্তু যদি
কেউ পূজার নির্দিষ্ট কিছু কাজে শরীক হয়ে এর মাধ্যমে পূজাকে উদ্ভোধন করে, তাহলে তার ঈমান
চলে যাবে।
২. পূজাতে যদি টাকা দেওয়া জায়েজ মনে করে দেয় তাহলে অবশ্যই
তার ঈমান চলে যাবে। কারণ, শিরকী কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নয়।
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও
সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা, আয়াত
২)
৩. তাকে জানিয়ে দিবে যে, ইসলামে এটা জায়েজ
নেই।