আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। আমি কুফরি আইন ও অনলাইন একাউন্ট সম্পর্কিত একটা প্রশ্ন করেছিলাম এর আগে। আপনারা বলেছিলেন,

জরুরত অনেক অবৈধ ও হারাম জিনিষকে মুবাহ করে দেয়। যেমন, ক্ষুধায় মরণাপন্ন অবস্থায় পতিত ব্যক্তির জন্য মৃত জিনিষ বা মদ খাওয়াও জায়েয। অপারগ ও মজবুরি অবস্থায় কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করা জায়েয। মাল ধ্বংস করাও জায়েয। তাছাড়া কারো নিকট পাওনা থাকলে, সেই পরিমাণ মাল তার অনুমতি ব্যতিত তার কাছ থেকে নিয়ে আসাও জায়েয। সন্ত্রাসকে প্রতিহত করা জায়েয।এমনকি তাকে হত্যা করা ব্যতিত নিজেকে বাঁচানো সম্ভব না হলে, তখন তাকে হত্যা করাও জায়েয।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে কিরকম অপারগতা থাকতে হবে? ঐ পণ্য ব্যবহার না করলে আমি মারা যাব শুধু এমন ক্ষেত্রেই কি করা যাবে? অনলাইনের পণ্য যেমন ফেসবুক, হোয়াটসএপ এগুলো ব্যবহার না করলে তো আর আমি মারা যাব না। আর তাদেরও ঐরকম আইন মেনে চলার শর্ত আছে।

আর আরেকটা প্রশ্ন - আমি যদি অন্য কারোর একাউন্ট খুলে দিই, সেক্ষেত্রে কি "আমি শর্তাবলি পড়েছি ও বুঝেছি" - এজায়গায় আমি টিক চিহ্ন দিয়ে দিব? নাকি আমার পড়ে নিতে হবে সেগুলো? যার একাউন্ট খুলে দিচ্ছি তিনি যদি এসব শর্তাবলি পড়তে/বুঝতে না পারেন সেক্ষেত্রে কী করব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১) জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : 
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।

(২) হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) :  কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন।
 
(৩) তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) :
এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। 

প্রথম অবস্থায় জায়েয। এবং তৃতীয় অবস্থায় জায়েয হবে না। আর দ্বিতীয় অবস্থায় অধিকাংশ ফুকাহা জায়েয বলে থাকেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 10315 

এবার মূল জবাবে আসা যাক, যদি ঐ সমস্ত সফটওয়্যারে প্রদত্ব শর্তাবলিতে স্পষ্ট কুফরি কিছু থাকে, তাহলে সেটা মান্য করা এবং ঠিক চিহ্ন দেওয়া ও উক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করা কোনোটাই জায়েয হবে না। তবে যদি স্পষ্ট কুফরি না থাকে, তবে সকল নিয়ম শরীয়া অনুযায়ী না থাকে, তাহলে ব্যাপক সুযোগ সুবিধার দিকে লক্ষ্য করলে রুখসত বা ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও ব্যবহার না করাই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
হুজুর, তাহলে আমরা যে হোয়াটসএপ, ফেসবুক ইত্যাদি একাউন্ট খুলি এক্ষেত্রে তো ঐরকম প্রয়োজনীয়তা নেই? তাহলে কি তা জায়েজ হবে না? আর আমার দ্বিতীয় প্রশ্নটারও একটু উত্তর দিয়েন।
by (597,330 points)
ব্যবহার না করাই উত্তম। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...