এক সময় আমরা উচ্চবিত্ত পরিবার ছিলাম। বংশীয় ভাবে আত্মীয় স্বজন সবাই বেশ ধনী। হঠাৎ করে একটা দূর্ঘটনায় আমরা আমাদের প্রায় সবকিছু হারিয়ে মধ্যবিত্ত পর্যায়ে চলে আসি। আমি একজন হেদায়েতপ্রাপ্ত মানুষ। দ্বীনে ফেরার আগে মাহরাম-নন মাহরাম পালন করি নাই, যেহেতু আমাদের উচ্চবিত্ত এলিট সমাজে দ্বীনের জ্ঞান কারোই নাই। এখন কথা হচ্ছে আমার তো আগে দ্বীনের জ্ঞান ছিলো না আর তখন চারপাশে সুন্দরী মেয়েদের দেখতে দেখতে আমার চোখ সয়ে গেছে। আমার পরিবার-বংশের মানুষজনও উল্লেখযোগ্য সৌন্দর্যের অধিকারী। সুতরাং এই ব্যাপার টা আমার কাছে বেশ নরমাল। এখন বেদ্বীন থাকা কালীন যে সৌন্দর্য আমার চোখে সয়ে গেছে এটা তো আর আমার দোষ না, কারন আমি তো জন্মগত ভাবে দ্বীন জানতামই না, আমাক কেউই শেখাতে আসেনি। এখন মূল সমস্যা হচ্ছে যে আমি যখনই বিয়ের জন্য পাত্রী তালাশের সময় দ্বীনদারি, পর্দাশীল হওয়ার সাথে একটু দেখতে মানানসই সৌন্দর্য চাই তখনই আমাকে বলা হয় আমি নাকি বেদ্বীন, লেবাসধারী ইত্যাদি কারন দ্বীনদার হলে নাকি সৌন্দর্য চাওয়াই যাবে না। আসলেই কি দ্বীনদার হলে মানানসই সৌন্দর্য চাওয়া নিষিদ্ধ?
নোট- এখন কিন্তু নজরের হেফাযত বেশ কঠোর ভাবেই পালন করি, মাহরাম, নন-মাহরামও মেন্টেইন করি। আর দ্বীনে ফেরার আগেও‌ কখনো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না।