বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
হাদিস শরীফে এসেছে-
[عن
أبي هريرة:] جدِّدوا إيمانَكم قالوا يا رسولَ اللَّهِ فكيفَ نجدِّدُ إيمانَنا قالَ
جدِّدوا إيمانَكم بقولِ لا إلهَ إلّا اللَّهُ - مجمع الزوائد ٢/٢١٤
মর্মার্থ: রাসূল সা. বলেন: তোমরা তোমাদের ঈমানকে নবায়ন করো।
তখন সাহাবায়ে কেরাম রা. বললেন,
হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কিভাবে আমাদের ঈমানকে নবায়ন করে নিবো? রাসূল সা. বললেন, তোমরা لا
إلهَ إلّا اللَّهُ বলার মাধ্যমে ঈমানকে নবায়ন করে নাও।
https://ifatwa.info/5905/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَمَنْ
يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ
أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ
فِيهَا خَالِدُونَ
আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে
অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়,
তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (বাকারা ২ : ২১৭)
★সুতরাং যে ব্যাক্তি
কোনোভাবে ইসলাম ত্যাগ করে, তাকে ইসলাম গ্রহন করতে হবে।
পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে।
ইরশাদ হয়েছে-
يَا
أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا
خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ
করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (বাকারা ২ : ২০৮)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
واسلامه أي المرتد أن يأتي بكلمة
الشهادة ويتبرأ عن الأديان كلها سوي
الإسلام وأن يتبرأ عما انتقل إليه
যার সারমর্ম হলো প্রথমেই মুরতাদ ব্যক্তিকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে, তারপর ইসলাম
ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে
হবে, তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস, কাজকর্ম থেকে
ফিরে আসতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে
মাজিদাহ কোয়েটাহ)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মুরতাদ ব্যক্তি যদি ইসলাম গ্রহন
করতে চায় তাহলে তাকে প্রথমে কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে।
أشهد
أن لا إله الا الله وأشهد أن محمدا عبده
ورسوله
অর্থাৎ তাকে বলতে হবে যে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া
কোনো ইলাহ, মাবুদ নেই,আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহ তায়ালার বান্দা এবং তার রাসুল।
অতঃপর ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম বাতিল বলে তাকে ফিরে আসতে হবে।
অতঃপর তাকে তওবা করতে হবে যে আমার পূর্বের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মহান আল্লাহর কাছে
তওবা করিতেছি। আমি লজ্জিত অনুতপ্ত, আমি আর কোনো দিন এহেন কাজ করিবোনা, এহেন বিশ্বাস
স্থাপন করিবোনা। (তারপর থেকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিধান তাকে মনেপ্রানে, কাজেকর্মে মানতে
হবে।) এর পর থেকে তাকে মুসলমান হিসেবে গন্য করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে খতমে নবুয়্যত ১/৩০০)
মুরতাদ ব্যক্তি কিভাবে ইসলাম গ্রহন করবে জানুনঃ
https://ifatwa.info/2601/
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/5905/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. পূর্বে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
২. শুধু সন্দেহের কারণে
এভাবে বারবার ধৌত করবেন না। যদি নিশ্চিত ভাবে জানেন বা সরাসরি নাপাকি দেখতে পান তাহলে
তখন শুধু নাপাকি ধৌত করবেন। অন্যথায় শুধু সন্দেহের কারণে এভাবে বারবার ধৌত করবেন না।
কারণ, ওয়াসওয়াসার
কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে
এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন
দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
৩. শুধু সন্দেহের কারণে নাপাক হিসেবে ধরবেন না। সুতরাং রাস্তাঘাটে ভেজা
জিনিস দেখলেই সেটাকে নাপাক হিসাবে ধরবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত নাপাক না দেখবেন।
আবার যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার বোরকায় নাপাকের চিহ্ন লেগে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বোরকা
নাপাক হিসেবে ধরবেন না। এমনকি কুকুরের শরীরে আপনার বোরকা লেগে গেলেও বা স্পর্শ হলেও
নাপাক হিসেবে ধরবেন না যতক্ষণ না আপনার বোরকায় নাপাকি চিহ্ন আপনি সরাসরি দেখতে না
পাবেন।
এভাবে চললেই আস্তে আস্তে আপনার ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কারণ ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা
সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
৪. কুকুরের শরীরে আপনার বোরকা লেগে গেলেও বা স্পর্শ হলেও নাপাক
হিসেবে ধরবেন না যতক্ষণ না আপনার বোরকায় নাপাকি চিহ্ন আপনি সরাসরি দেখতে না পাবেন।