আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আমার স্বামী সহবাসে অক্ষম কিনা ঠিক বলতে পারব না।তবে তার শুরু থেকেই এসবে আগ্রহ ছিল না তেমন।আর এখন তো ১ মাসেও তার আগ্রহ হয় না।যদি মাসে ১ বার ইচ্ছে হয়ও তার সময়কাল সর্বোচ্চ ২-৩ মিনিট(ম্যাক্সিমাম)। কখনও ১ মিনিটের মত।কখনও ৫-৭ বা এমন কিছু সময়।আমি এক্সাক্ট সময় বলতে পারছি না।যা বললাম তা আনুমানিক। তাকে এ নিয়ে চিকিৎসা করাতে বললে বলে যে কোনো সমস্যা নেই।আমাকে দেখেই নাকি তার আগ্রহ হয় না।বলে রাখা ভালো আমি অত কুশ্রী নই।আর আমাকে সে মোটা বলে, যদিও আমার বিএম অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে। তবে একটু হেল্থি। কিন্তু তার প্রয়োজন সিনেমার স্লিম জিরো ফিগারের,পশম বিহিন কাউকে। তার এই সমস্যা নিয়ে কথা বললেই এই একই কথা। একই বর্ণনা।আর অদ্ভুত এক অভিযোগ যা এখানে লেখা সম্ভব নয়।কিন্তু আল্লাহর নামে কসম করে বলতে পারি আমি বিয়ের আগে ওসব খারাপ রিলেশনতো দূরে থাক কোনো ঘনিষ্ঠ ছেলে বন্ধুই ছিল না।শুধু ক্লাস করার প্রয়োজনে ক্লাসে বসেই কোনো প্রয়োজনে ক্লাসমেটদের সাথে কথা বলা হত।তবে সর্বোচ্চ এড়িয়ে চলতাম। আর সে কি অশ্চর্য অভিযোগ করে!!

আমি জানতে চাচ্ছি আমার স্বামীর এই অবস্থায় তার সাথে সহবাস করতে কি আমি বাধ্য? মানে,মাসে ১ বার তাও অতটুকু সময়, এসময়ে কি তার সাথে থাকতে আমি বাধ্য? আসলে আমার খুব কষ্ট হয়।কিন্তু নিজেকে বুঝিয়ে ভুলিয়ে রাখি।কিন্তু আবার এইভাবে মিলিত হলে আবার নতুন করে কষ্ট পাই।শক্ত আমি আবার নরম হয়ে যাই।তাই ভেবেছি একদম বাদ দিয়ে থাকব।দিন দিন তো কষ্ট পেতে হবে না।এজন্য ফতোয়া জানতে চাওয়া।যেহেতু সে চিকিৎসাও করাতে রাজি না,আবার কারন হিসেবে আমাকেই দায়ী করছে।এদিকে তার অবস্থাও এমন।সবমিলিয়ে আমি জানতে চাচ্ছি প্লিজ, আমি কি বাধ্য?

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/69832/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

স্বামীর নিকট স্ত্রীর সহবাস হক্ব কতটুকু?

এ সম্পর্কে উলামাদের কাছ থেকে বিরোধপূর্ণ বক্তব্য পাওয়া যায়।

(ক) ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,

ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ "

স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব (অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)। যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন। (দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন) ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990   


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!


যেহেতু স্বামী অক্ষম, বারংবার বলার পরও চিকিৎসা গ্রহণ করতে নারাজ। স্ত্রীকে আহবান করে নিজের প্রয়োজনকে পূর্ণ করে স্ত্রীর চাহিদার প্রতি কোনো তোয়াক্কাই করেননা। তাই স্ত্রীর এ অধিকার থাকবে যে, যতদিন না স্বামী সক্ষম হবে বা চিকিৎসা করাবে, ততদিন স্ত্রী নিজেকে স্বামী থেকে বিরত রাখতে পারবে।

আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...