আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার কিছু প্রশ্নে
১।ব্যাংকে চাকরি করে এমন একজন থেকে পাওয়া কিছু টাকা(৩২০০) হাদিয়া ছিলো আমার, যেটা হারাম টাকা। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিন কে দান করে দিতে বলা হয়েছে।
আমি খ্রিস্টান মিশনারি কাজ করে এমন গরিবদের মাঝে দিয়েছি অর্থাৎ যারা টাকার জন্য খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে এমন গরিব।আমার কেমন জানি লাগতেছে এখানে দিয়ে, আমার দান করা কি হয়েছে?
নাকি আবার করতে হবে?

২।উপরের ৩২০০ টাকা আমার হিসাব করা ছিলো।

এমন কিছু টাকা হিসাব করা না  আবার  উনার টাকায় অনেক কিছু খেয়েছি। এখন এই টাকা গুলো কিভাবে হিসেব করে দিব?

যেগুলো হিসাব করা না ওইগুলা না দিলে গুনাহ হবে?
আমার মন চাচ্ছে অনুমানে ৫০০০ দিয়ে দিতে। না দিলে শান্তি পাচ্ছি না।কি করা উচিত?
★মানত সম্পর্কে প্রশ্ন

১।আমার চাওয়া কিছু পেলে মসজিদে টাকা দিব এমন নিয়ত ছিলো,তখন মনে মনে আমাদের সমাজের মসজিদের কথাই মনে আসছিলো, এই মসজিদে আগে দেওয়া সহজ ছিলো এজন্য।
কিন্তু কয়েক বছর পরে আমি যখন টাকা দিব ওই মসজিদে দেওয়ার উপায় পাচ্ছিলাম না তাই অন্য মসজিদে দিয়েছি।
আমার মানত কি পূর্ণ হয়েছে?
নাকি মানত করার সময় মনে যে মসজিদের খেয়াল আসছিলো ওইখানে আবার দিতে হবে?

২।মনে মনে মানত করলেও কি তা পূরণ করতে হয়? নাকি শব্দ করে উচ্চারণ করতে হয়?

৩।মানত করার ক্ষেত্রে মানত শব্দ উল্লেখ করা কি জরুরি?
নাকি আমি মনে মনে ভাবলাম এটা হলে এটা করবো তাই মানত হয়ে যায়?

৪।আমার একটা অভ্যাস খারাপ বিপদ আসলেই মনে মনে বলে ফেলি আমার চাওয়া পূর্ণ হলে মসজিদে টাকা দিব। অনেক সময় ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও এমন হয়, তখন টাকা না দিলে আবার খুতখুত লাগে।
ইচ্ছে ছাড়া একদম মন থেকে যেগুলো না আসে এগুলোর জন্য যদি আমি টাকা না দেই তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (554,970 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তিকে যাকাত,সুদের টাকা দেয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত গরিব ব্যাক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে তাকে সুদের টাকা দেয়া যাবে।

(০২)
তাহা পূরন করতে হয়না।

(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
আপনি যেহেতু মনে মনে মান্নত করেছেন,তাই তাহা পূরন করা আবশ্যক নয়। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এগুলোর জন্য যদি আপনি টাকা না দেন, সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...