আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন মেয়ে।

গত শুক্রবার আমার খালাতো ভাই এর বিয়ে হয়। এর আগে আমি কাবিন পড়ানো সামনা সামনি দেখি নি। ওর বিয়েতেই দেখা। আসলে আমার পরিবার practising না। তাই যা হয় আর কি।  একই স্টেজে ছেলে মেয়ের ইজাব কবুল হয়। আমার নিজেরও বিয়ের বয়স হয়েছে। তাই ইসলামিক বিয়ে নিয়ে কিছু বইও পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ।  এখন খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে ইজাব কবুলের সময় আমি সামনেই ছিলাম। যেহেতু আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতা হইনি আবার বইতেও পড়েছি তাই practically দেখার জন্য excited  ছিলাম।

যা দেখলাম শুরুতে একজন হুজুর ওমুকের মেয়ে তমুকের সাথে বিয়ে এইসব কথা বলছিল আর মেয়ের পক্ষের একজন সেইটা repeat করছিল। কিন্তু উনি মেয়ের বাবা ছিল না। তো এর পর মেয়ে কবুল বলে৷ এর পর ছেলেকেও বলা হয় ওমুকের মেয়ে তমুকের ছেলে এই type কথা৷ তারপর ছেলেও কবুল বলে৷ আসলে এই পুরো বিষয়টায় আমি মনোযোগ দিয়ে observe করছিলাম। তো হুজুর যখন ছেলেকে কবুল বলতে বলল আমি ভুলে আলহামদুলিল্লাহ কবুল type কথা বলে ফেলছি( মনে মনে বলসি কিনা মনে পড়ছে না কিন্তু অনেক বেশি আসতে বলেছি)।  এখন আমি এই বিষয়টা নিয়ে tension এ আছি।  আমি তো আসলে অনেকটা অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলেছি। এইভাবে কি কিছু সমস্যা হবে আমার জন্য?  আমার কি বিয়ে হয়ে যাবে? tension করার কিছু আছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/11771 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার বিবাহ হয়নি। চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 
ভবিষ্যতে এধরণের পরিস্থিতির যেনো আর সম্মুখীন হতে না হয়,সেদিকে সতর্ক থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
যদি কবুল কথাটা মেয়ের ইজাবের সময় বলে ফেলি তাহলে কি সমস্যা হবে?
by (574,260 points)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার বিবাহ হয়নি। 
by (4 points)
যদি কবুল কথাটা মেয়ের ইজাবের সময় বলে ফেলি তাহলে?   আসলে আমার এখন মনে পড়ছে না কখন বলেছি।
by (574,260 points)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার বিবাহ হয়নি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...