আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আস্সালামুআলাইকুম ও রহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহু উস্তাজ ।
পূর্বে একবার অবৈধ গ্যাসের রান্না করা খাবার মাযুর অবস্থায় খেলে ইবাদত কবুলের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। সেখানে উস্তাজ বলেছিলেন হালালের আধিক্য থাকার কারনে ইবাদত কবুল হবে,সরকারী কোষাগারে টাকা জমা করতে হবে নতুবা একই পরিমান অর্থ সাদাকা করতে হবে এবং অভিভাবককে বুঝাতে হবে।
.
আমাদের গ্রামের সকল মানুষ অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নিয়েছে এবং গ্যাস লাইজার সহ যাবতীয় বিষয়ে এক একটি পরিবারের খরচও হয়েছে ২০-৫০,০০০ এর মতো। এখন অবৈধ গ্যাস ব্যাবহার হারাম প্রসঙ্গে কথা আসলে তারা বলেন আমরা টাকা খরচ করে নিয়েছি এবং যখন গ্যাস বৈধ হবে তখন তো জরিমানা সহ টাকা পরিশোধ করবোই তাই এখন খেলে সমস্যা নাই এবং এও বলেন যে এখন যদি না খাই পরে তো জরিমানা দিবোই। তাহলে কেনো এই গ্যাসের রান্না খাবো না!
.
আমার প্রশ্ন উস্তাজ :
১)যদি কোনো পরিবার গ্রামের সকল মানুষের বিপরীতে গিয়ে তাদের অবৈধ গ্যাসের সংযোগ টি বন্ধ রাখে হারাম থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে, পরবর্তীতে যখন গ্যাস বৈধ হবে তখন কি গ্রামের অন্যান্যদের মতোই তাদের পুরোটা সময়ের ( যতটুকু সময় গ্যাস সংযোগ ছিলো) টাকা জরিমানা দিতে হবে?  নাকি তারা যে সময় টুকু ব্যাবহার করেছে ওইটুকু দিবে।যদিও সরকারীভাবে তো এটাই জানবে যে অমুক গ্রামে এত সাল হতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এখানে তো তারা দেখবে না কারা সংযোগ অফ রেখেছে! এমতাবস্থায় গ্যাসের সংযোগ অফ করে ফায়দা আছে কি?  কিংবা কিভাবে অফ করে রাখলে অন্যান্যদের জরিমানা আসলেও উক্ত পরিবারটির জরিমানা আসবে না?
২) পরবর্তীতে জরিমানা তো দিবই এই চিন্তা ধারন করে অবৈধ গ্যাসের সংযোগে রান্না চালিয়ে যাওয়া শরীয়াহ দৃষ্টিতে যৌক্তিক হবে?
৩) পরিবারের একজন সদস্য যিনি মারা গিয়েছেন,জীবদ্দশায় এই অবৈধ সংযোগে রান্না করা খাবার ই খেয়ে গিয়েছেন। এখন যতদিন এই গ্যাস বৈধ করা না হচ্ছে তার জন্য কি আলাদা করে কাফফারা আদায় করতে হবে? যদিও তিনি অবৈধ গ্যাসের হারাম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না,তার ভরনপোষনের দায়িত্ব ছিলো তার ছেলেদের উপর। এক্ষেত্রে কি শুধু ছেলেরাই গুনাহগার হবে? নাকি তিনিও হবেন( যিনি মারা গিয়েছেন)।

জাযাকুমুল্লাহু খইর

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
এই বিষয়ে সরকারের নির্দেশ না আসলে বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করে উক্ত চিন্তা ধারন করে অবৈধ গ্যাসের সংযোগে রান্না চালিয়ে যাওয়া শরীয়াহ দৃষ্টিতে যৌক্তিক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে সরকার পূর্বে সমস্ত জরিমানা নিলে তো তার জরিমানাও আদায় হয়ে যাবে।

তবে সরকার জরিমানা কবে নিবে,সেটি তো স্পষ্ট নয়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত মৃত সেই ব্যাক্তিজে কবর এর জগতের ভয়াবহতা হতে বাঁচাতে দ্রুত কাফফারা আদায়ের পরামর্শ তার সন্তানদের প্রতি থাকবে।

এটি উক্ত ব্যাক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ হতে আদায় করতে হবে। যদি সেই ব্যাক্তি কোনো সম্পদ না রেখেই মারা যান, সেক্ষেত্রে তার সন্তানেরা নিজ সম্পদ হতে কাফফারা আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...