আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

আমার ছোট বোন যেদিন মারা যায় শুক্রবার ঐদিন সকালে জ্বর ছিল আমি ওরে সকালে ও দুপুরে নাপা দিছিলাম সকালে গোসল করছিলো আর আরেকবার আমি দুইমগ পানি দিছিলাম। কিন্তু সকালে হসপিটালে নেব ভাবছিলাম তারপর কেন যেন আর নেই নাই বিকালে হসপিটাল  নিছিলাম   আর ও মারা গেছে। সবাই বলল আরও পানি দেওয়া উচিত ছিল। জ্বর মাথায় উঠার কারণে মানুষ মারা যায়।

 আমার বোনের  মৃত্যুর জন্য কি আমি দায়ী। ফাতেমা কি আমার কারনেই মারা গেছে। ও যখনি অসুস্থ হতো  আমি ওর খেয়াল রাখতাম।কিন্তু এইবার কি আমি ইচ্ছে করে এমন  করলাম। 

২.আমি যদি ওরে সকালে হসপিটালে নিতাম। আরও মাথায় পানি দিতাম তাহলে কি আমার বোন আরও হায়াত পেত। অর্থাৎ শর্তযুক্ত হায়াত পেত। 

৩.ও দীর্ঘ দিন যাবত মানসিক রোগে(PTSD) ভুগতেছিলো এবং নেক ছিলো। ওর জন্য কি হিসাব সহজ হবে। 

1 Answer

0 votes
by (614,700 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/58

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জন্ম মৃত্যুর, বিয়ে শাদী  সবকিছুই পূর্ব নির্ধারিত।তাকদীরে যা লিপিবদ্ধ আছে, সেটাই হবে। আপনার বোনের মুত্যু লিখা ছিলো, মাথায় পানি দেওয়া তার জন্য লিখা হয়নি। তাই আপনি মাথায় পানি দেননি। এভাবেই তার মৃত্যু লিখা ছিলো। এক্ষেত্রে আপনার কোনো ত্রুটি নেই। তাছড়া মাথায় পানি দিলেই যে সে বেঁচে যেতো, বিষয়টাও এমন নয়। যেহেতু সে মানষিক রোগে আক্রান্ত ছিলো, তাই তার হিসাব সহজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...