আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
edited by
১ নং প্রশ্নটা গুছিয়ে করতে পারিনি। কোরআন শরিফ তো শিখব কিন্তু সকালে কিছু সময় ধরে সারাদিন ধরে  ইচ্ছে করে না। নাটক দেখার বদ অভ্যাস আছে যখনই নাটক দেখতে যাই তখনি মনে পড়ে এখনই শিখতে হবে তখন তো ইচ্ছে করে না। বল খেলতে গেলে মনে পড়ে।আমি বলতে চাইছিলাম কোরআন শরিফ শিখবো কিন্তু  সকালে কিছু সময়। বাকি সময়ে যদি নফসের তাড়নায়  কোনো পাপ করি পাপ করার সময় যদি মনে আসে এখন শিখতে হবে নফসের সাথে যদি না পেরে উঠি   মনে যদি কোরআন শরিফ শিখাকে সম্মান রাখি তাহলে অপমান করা হবে কি ইমানে সমস্যা হবে কি?পাপ যদি নাও করি সারাদিন ধরে তো আর ইচ্ছে করে না আর একদিনে সব শিখলে মনে না থাকার সম্ভবনা আছে। এইজন্য সকালে ফজরের পড়ে অল্প অল্প করে শিখি।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا                                

নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (সূরা নিসা, ১১৬)


এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَأَخْبَرَنِي ـ أَوْ قَالَ بَشَّرَنِي ـ أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ ". قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ " وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ ".

আবূ যার্ (গিফারী) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন আগন্তুক [জিব্রীল (আলাইহিস সালাম)] আমার রব-এর কাছ থেকে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছিলেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে দাখিল হবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। (সহীহ বুখারী ১১৬৫)


কোনো গুনাহগার মুসলমানকে কি কাফির বলা যাবে?

প্রতি উত্তরে বলা যায় যে, কোন গুনাহগার মুসলমানকে কাফির বলা যাবে না। কাফির বলা জায়েজ হবে না। বরং যে কোনো মুসলমানকে কাফির বলবে তার মারাত্মক ধরণরে গুনাহ হবে। অযথা কাউকে তাকফীর করা নাজায়েজ ও হারাম। কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে কড়া ধমকি এসেছে।

গোনাহের শাস্তি ও তাওবা সম্পর্কে জানুন- https://www.ifatwa.info/906


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে সর্বদা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...