আসসালামু আলাইকুম,
১/ আমার বাবা সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত। উনি উনার পেনশনের টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা (আমার জানামতে) আমার মায়ের নামে ব্যাংকে রেখেছেন। ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে ৭/৮ হাজার টাকা দেয়। আমি কার্ডের মাধ্যমে এই টাকা দিয়ে নিজের ভরণপোষণের জন্য খরচ করি। এক্ষেত্রে কি আমি পুরোপুরি হারাম খাচ্ছি? নাকি সুদ থেকে আমার পিছনে ব্যায় করায় আমার মা-বাবাই শুধু গুনাহগার হচ্ছেন।
(উল্লেখ্য - আমার বাবা এখন বেসরকারী চাকরি করেন,ওই টাকা দিয়ে বাসায় খরচ করেন।এখন আমি কার্ড ফেরত দিলেও,তিনি এই কার্ড থেকে তুলেই আমাকে বিকাশে টাকাটা পাঠাবেন।ঘুরে ফিরে আমার জন্য ওই টাকাই বরাদ্দ দেওয়া।আমি পরীক্ষামূলকভাবে কার্ড ফেরত দিয়ে দেখেছিলাম।)
২/ আমার হাসবেন্ড স্টুডেন্ট। উনার বাবা মারা গিয়েছেন। উনাদেরও ১০/১২ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা আছে। সেখান থেকে মাসিক যেই টাকা আসে, সেটা দিয়ে আমার হাসবেন্ড ও শাশুড়ির যাবতীয় প্রয়োজনে (বাসা ভাড়া,পড়াশোনা,বাজার,চিকিৎসায়) ব্যায় করা হয়। আমার হাসবেন্ড চাইলেও শাশুড়ী আম্মু ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বিজনেস করতে দিবেন না।এক্ষেত্রে কে গুনাহগার হচ্ছেন শুধু আমার শাশুড়ী নাকি হাসবেন্ডও?
(উল্লেখ্য,আমার হাসবেন্ড স্টুডেন্ট তাই আমার খরচ আমার বাবাই চালান আপাতত।তবে তিনিও সাধ্যমতো আমার জন্য ব্যায় করেন আলহামদুলিল্লাহ)
৩/ সুদ খেলে নাকি মায়ের সাথে যিনা( নাউযুবিল্লাহ) করার সমান গুনাহ হয়। সুদ খেলে নাকি আল্লাহ ও রাসুলের (ﷺ) সাথে যুদ্ধ করার গুনাহ হয়, সুদ খেলে নাকি ৩৬ টা মেয়েকে রেইপ করার গুনাহ হয়। এগুলো সবগুলো কি সত্যি? এইভাবে ব্যাংকে টাকা রেখে তার লাভ খাওয়াতে কি আমাদের পরিবারের সবার এই সব গুনাহ হচ্ছে?
আমি আর আমার হাসবেন্ড এখনও মা-বাবার অধীনেই আছি।আমরা টিউশন করিয়ে যেই টাকা পাই সেটা দিয়ে আমাদের নিজেদের ব্যাক্তিগত ভরনপোষণ, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজন পুরপুরি মিটানো সম্ভব নয়।
বাবা-মা,শাশুড়ীকে বুঝালেও বুঝতে চাইবেন না,উল্টো আমাদেরকেই বলেন আমরা বাড়াবাড়ি করি।সুদ থেকে বাঁচতে কি করতে পারি আমরা?