আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১/ আমার বাবা সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত। উনি উনার পেনশনের টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা (আমার জানামতে) আমার মায়ের নামে ব্যাংকে রেখেছেন। ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে ৭/৮ হাজার টাকা দেয়। আমি কার্ডের মাধ্যমে এই টাকা দিয়ে নিজের ভরণপোষণের জন্য খরচ করি। এক্ষেত্রে কি আমি পুরোপুরি হারাম খাচ্ছি? নাকি সুদ থেকে আমার পিছনে ব্যায় করায় আমার মা-বাবাই শুধু গুনাহগার হচ্ছেন।
(উল্লেখ্য - আমার বাবা এখন বেসরকারী চাকরি করেন,ওই টাকা দিয়ে বাসায় খরচ করেন।এখন আমি কার্ড ফেরত দিলেও,তিনি এই কার্ড থেকে তুলেই আমাকে বিকাশে টাকাটা পাঠাবেন।ঘুরে ফিরে আমার জন্য ওই টাকাই বরাদ্দ দেওয়া।আমি পরীক্ষামূলকভাবে কার্ড ফেরত দিয়ে দেখেছিলাম।)


২/ আমার হাসবেন্ড স্টুডেন্ট। উনার বাবা মারা গিয়েছেন। উনাদেরও ১০/১২ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা আছে। সেখান থেকে মাসিক যেই টাকা আসে, সেটা দিয়ে আমার হাসবেন্ড ও শাশুড়ির যাবতীয় প্রয়োজনে (বাসা ভাড়া,পড়াশোনা,বাজার,চিকিৎসায়) ব্যায় করা হয়। আমার হাসবেন্ড চাইলেও শাশুড়ী আম্মু ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বিজনেস করতে দিবেন না।এক্ষেত্রে কে গুনাহগার হচ্ছেন শুধু আমার শাশুড়ী নাকি হাসবেন্ডও?
(উল্লেখ্য,আমার হাসবেন্ড স্টুডেন্ট তাই আমার খরচ আমার বাবাই চালান আপাতত।তবে তিনিও সাধ্যমতো আমার জন্য ব্যায় করেন আলহামদুলিল্লাহ)


৩/ সুদ খেলে নাকি মায়ের সাথে যিনা( নাউযুবিল্লাহ) করার সমান গুনাহ হয়। সুদ খেলে নাকি আল্লাহ ও রাসুলের (ﷺ) সাথে যুদ্ধ করার গুনাহ হয়, সুদ খেলে নাকি ৩৬ টা মেয়েকে রেইপ করার গুনাহ হয়। এগুলো সবগুলো কি সত্যি? এইভাবে ব্যাংকে টাকা রেখে তার লাভ খাওয়াতে কি আমাদের পরিবারের সবার এই সব গুনাহ হচ্ছে?

আমি আর আমার হাসবেন্ড এখনও মা-বাবার অধীনেই আছি।আমরা টিউশন করিয়ে যেই টাকা পাই সেটা দিয়ে আমাদের নিজেদের ব্যাক্তিগত ভরনপোষণ, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজন পুরপুরি মিটানো সম্ভব নয়।

বাবা-মা,শাশুড়ীকে বুঝালেও বুঝতে চাইবেন না,উল্টো আমাদেরকেই বলেন আমরা বাড়াবাড়ি করি।সুদ থেকে বাঁচতে কি করতে পারি আমরা?

1 Answer

0 votes
by (589,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ব্যাংকে টাকা রেখে মুনাফা গ্রহণ স্পষ্টত সুদ ও হারাম। এবং হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করা(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এবং আপনার স্বামীর তথা আপনারা উভয়ের জন্যই সুদ গ্রহণ করা জায়েয হচ্ছে না। ভর্সিটির খরচ চালিয়ে যেতে প্রয়োজনে আপনারা হালাল ত্বরিকায় ইনকাম করবেন। টিউশনি ইত্যাদি করে যা ইনকাম হবে, সেই ইনকাম দ্বারা কোনো রকম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...