ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সন্তানের মালে পিতার হক্ব ও অধিকার রয়েছে, সম্পর্কে একটি হাদীস শুনুন।হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥَّ ﺭَﺟُﻼ ﻗَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥَّ ﻟِﻲ ﻣَﺎﻻ ﻭَﻭَﻟَﺪًﺍ ﻭَﺇِﻥَّ ﺃَﺑِﻲ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﺘَﺎﺡَ ﻣَﺎﻟِﻲ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﻣَﺎﻟُﻚَ ﻷَﺑِﻴﻚَ
এক ব্যক্তি এসে নবীজী সাঃ কে বলল,আমার মাল আছে এবং সন্তানাদিও আছে।এখন আমার পিতা আমার মাল নিয়ে নিতে চায়। নবীজী সাঃ তদুত্তরে বললেনঃতুমি এবং তোমার মাল, তোমার পিতার জন্য বৈধ।অর্থ্যাৎ তোমার মালে তোমার পিতার হক্ব রয়েছে।(ইবনে মাজা ২২৯১,সহীহ ইবনে হিব্বান-২২৯২,মুসনাদে আহমাদ-৬৯০২)
সন্তানের উপর পিতা-মাতার খোরপোষ কখন ওয়াজিব হবে?
(وَ) تَجِبُ (عَلَى مُوسِرٍ) وَلَوْ صَغِيرًا (يَسَارَ الْفِطْرَةِ) عَلَى الْأَرْجَحِ وَرَجَّحَ الزَّيْلَعِيُّ وَالْكَمَالُ إنْفَاقَ فَاضِلِ كَسْبِهِ.
গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী সচ্ছল, নেসাব পরিমাণ মালের মালিক সন্তানের উপর উপর মাতা-পিতার নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।ইমাম যাইলায়ী, ও আল-কামাল রাহ. দৈনন্দিন রোজগারের অতিরিক্ত উপার্জনকে (পিতা-মাতার জন্য খরছ করবে অন্য কিছু নয়) অগ্রাধিকার দেন।(দুর্রুল মুখতার৩/৬২১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/3712
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক)
(১) প্রশ্নের বর্ণনামতে মাতাপিতা ও পরিবার থেকে সাময়িক পৃথক থাকার বিষয়ে কোনো বিধি নিষেধ আপনার প্রতি আরোপিত হবে না।
(২) আপনার আব্বু-আম্মু যদি কষ্ট পায়, এক্ষেত্রে আপনার কোনও গুনাহ হবে না। কেননা আপনি তো নিজের যাতায়াত সুবিধায় সেখানে বসবাস করছেন।
(৩) আলাদা থাকলেও আপনি আপনার বাবা মা ও ভাই বোনদের যাবতীয হক যথাসম্ভব আদায করবেন।
এছারা, আমার আরেকটি বিষয় জানার আছে।
(খ)
(১) বাবা-মা, ভাই কে আলাদা করে হাত খরচ দিত হবে না। তবে হাতে টাকা থাকলে দেয়া উত্তম।
(২) জ্বী, আপনার ও দায়িত্ব আছে।
(৩) স্ত্রীর ভরণপোষণ পাশাপাশি মাতাপিতা ও ভাই বোনদের ভরণপোষন ওয়াজিব।