আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (74 points)
edited by
১।আমি কোরআন তিলাওয়াত শিখছিলাম না পড়তে পড়তে নুন সাকিন তানবিন এর নিয়ম ভুলে গেছি। এখন আমি আবার শিখতে চাই সকালে কিছু সময়  সারাদিন শিখতে ইচ্ছে হয় না।যখনই কোনো পাপ কাজ করতে চাই তখনই মনে হয় যে এখন কোরআন তিলাওয়াত শিখতে হবে না হলে কোরআন কে অপমান করা হবে। যদি কোরআন তিলাওয়াত শিখাকে  সম্মান রেখে যদি পাপ করি তাহলে কি কোরআন শরিফ কে অপমান হবে?

২।নামাজের ভিতরে মন অন্য দিকে চলে যায় যদি আমি মনে মন বলি আল্লাহ পাক এর সামনে আছি এভাবে করা সঠিক হবে কি না?

৩।এসার নামাজের সুন্নাত জিকির গুলি যদি বিতির নামাজের পরে পড়ি তাহলে আদায় হবে

1 Answer

0 votes
by (578,340 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আবূ মালিক আল আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلأُ الْمِيزَانَ . وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلآنِ - أَوْ تَمْلأُ - مَا بَيْنَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَالصَّلاَةُ نُورٌ وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ। আলহামদু লিল্লা-হ’ মিযানের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে দিবে এবং "সুবহানাল্লা-হ ওয়াল হামদুলিল্লা-হ" আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পরিপূর্ণ করে দিবে। সালাত’ হচ্ছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি। সাদাকা হচ্ছে দলীল। ধৈর্য হচ্ছে জ্যোতির্ময়। আর "আল কুরআন’ হবে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ। বস্তুতঃ সকল মানুষই প্রত্যেক ভোরে নিজেকে আমলের বিনিময়ে বিক্রি করে। তার আমল দ্বারা সে নিজেকে (আল্লাহর আযাব থেকে) মুক্ত করে অথবা সে তার নিজের ধ্বংস সাধন করে। (সহীহ মুসলিম-৪২২)

’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ تَحْتَ الْعَرْشِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْقُرْآنُ يُحَاجُّ الْعِبَادَ لَهُ ظَهْرٌ وَبَطْنٌ وَالْأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ تُنَادِي: أَلَا مَنْ وَصَلَنِي وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَنِي قَطَعَهُ اللَّهُ . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইরশাদ করেছেনঃ তিনটি জিনিস কিয়ামতের দিন আল্লাহর ’আরশের নীচে থাকবে। (১) কুরআন, এ কুরআন বান্দাদের (পক্ষে বিপক্ষে) আর্জি পেশ করবে। এর যাহের ও বাতেন দু’দিক রয়েছে। (২) আমানাত ও (৩) আত্মীয়তার বন্ধন। (এ তিনটি জিনিসের প্রত্যেকে ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ! যে আমাকে রক্ষা করেছে তুমি [আল্লাহ] তাকে রক্ষা করো। যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আল্লাহ তাকে ছিন্ন করো।) (মিশকাত-২১৩৩)

কবিরা গোনাহ করলে কেউ কাফির হয় না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2260

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোরআন তিলাওয়াত শিখতে হবে, না হলে কোরআন কে অপমান করা হবে। এমন মনোভাব অন্তরে থাকা উচিৎ। যদি কোরআন তিলাওয়াত শিখাকে কেউ সম্মান রাখে, তাবে আবার পাপও করে, তাহলে সেটা কোরআন অপমানেরই নামান্তর।

(২) নামাজের ভিতরে মন অন্য দিকে চলে যায়, যদি কেউ মনে মনে বলে যে, সে আল্লাহ পাকের সামনে দাড়িয়ে আছ, এমন মনোভাব থাকাটাই কাম্য।

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কী?’ তিনি বললেনঃ ‘আপনি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।’(,সহীহ বোখারী,-৫০ হাদীসে জিবরাইল)

(৩) এশার নামাজের মাসনুন জিকির গুলোকে যদি বিতির নামাজের পরে পড়া হয়, তাহলেও আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (74 points)
১ নং প্রশ্নটা গুছিয়ে করতে পারিনি। কোরআন শরিফ তো শিখব কিন্তু সকালে কিছু সময় ধরে সারাদিন ধরে  ইচ্ছে করে না। নাটক দেখার বদ অভ্যাস আছে যখনই নাটক দেখতে যাই তখনি মনে পড়ে এখনই শিখতে হবে তখন তো ইচ্ছে করে না। বল খেলতে গেলে মনে পড়ে।আমি বলতে চাইছিলাম কোরআন শরিফ শিখবো কিন্তু  সকালে কিছু সময়। বাকি সময়ে যদি নফসের তাড়নায়  কোনো পাপ করি মনে যদি কোরআন শরিফ শিখাকে সম্মান রাখি তাহলে অপমান করা হবে কি ইমানে সমস্যা হবে কি? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...