এই খাবার কি খাওয়া যাবে?

Question

আসসালামু য়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
https://ifatwa.info/103216/ এ এক বোনের উত্তরে বলেছিলেন সুদিন ব্যাংকে ইস্তফা দানে প্রাপ্ত বেনিফিটের টাকায় দ্বীনের খেদমতের উদ্দেশ্য শিক্ষা গ্রহন করা যাবে । আমার প্রশ্ন হলো এরকম অর্থ ব্যবহার করে দ্বীনের খেদমতের উদ্দেশ্য আমরা শিক্ষা গ্রহন করতে গিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে যদি কোন খাবার খেতে দেয় যেমন স্নাক্স‌, দুপুরের খাবার সেগুলো গ্রহন করা ও খাওয়া কি জায়েয হবে? বা তাকওয়ার পরিপন্থী হবে কি?
জাঝাকাল্লাহু খইরন।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নটি অস্পষ্ট। যতটুকু বুঝা যাচ্ছে, সেই আলোকে বলছি,

বেনিফিটের টাকাকে দ্বীনের খেদমতের উদ্দেশ্য গ্রহণ করা যাবে না।এবং ব্যয় করাও যাবে না। এবং সেখান থেকে কোনো কিছু গ্রহন করাও যাবে না।

Comments

তবে উস্তাদ, 103216 নং ফতোয়ায় আট নং উত্তরে যে বলা আছে 

(৮)  এই অর্থ দিয়ে দ্বীনের খেদমতের নিয়্যাতে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবে।

এইটা কি কারনে বলা হয়েছে, কোন প্রেক্ষিতে বল্লেন সহজ হতো ইনশাআল্লাহ।

জাঝাকাল্লাহু খইরন 

---

হারাম মালকে তো সদকাহ করতে হবে। এখন যেহেতু  উনার নিকট কিছুই নাই। তাই তিনিই তো উক্ত মালের হকদার, যেভাবে অন্য আরো দশজন নিস্ব মানুষ হকদার