ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/88266/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ
ও আলাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-
(১) খালওয়াত হতে পারবে না।
(২) মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো
বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
(৩) ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।
যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়, অথবা কোনো একজন উপভোগ
করতে শুরু করে নেয়, তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।
(৪) মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে
না।
(৫) মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা
পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত
শরীর ঢেকে রাখবে।
(৬) প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবর্থা বলা
যাবে না।
যখন এই সব শর্ত পাওয়া যাবে, তখনই মূলত পাত্র-পাত্রী
পরস্পর আলোচনা ও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক
করুন- https://www.ifatwa.info/2898
(৭) পাত্রের সামনে পাত্রী মুখে হালকা পাতলা প্রসাধনী ব্যবহার
করতে পারবে। যেমন লিপস্টিক,
কাজল ইত্যাদি তবে শর্ত হলো এমন কোনো সাঝ গ্রহণ করা যাবে না, যাতেকরে পাত্র পক্ষকে ধোকায় নিপতিত করা হয়।
(৮) পাত্রের সাথে কথা বলার সময় মাহরাম উপস্থিত থাকতে হবে।
(৯) বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাত্রের সাথে ফোনে কথা বলা যাবে, এক্ষেত্রেও পাত্রীর পাশে মাহরাম উপস্থিত থাকতে হবে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.
জ্বী, কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতে পারবে।
২.
জ্বী, চাইলে দেখতে পারবে।
৩.
পাত্রীকে পাত্রের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রসাধনী কিনে দিবে। আর পাত্রপক্ষ হতে
চাপ দিয়ে মেয়ের পরিবার থেকে পাত্রের জন্য বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটা করে নেওয়া জায়েজ
হবে না। তবে যদি পাত্রীপক্ষ নিজ থেকে কিছু কিনে দেয় সেটা ভিন্ন কথা।