আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
360 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (16 points)
edited by
https://ifatwa.info/10310/

এই প্রশ্নটি আমি করেছিলাম।।তাতে আপনাদের উত্তর পেয়েছি।।জাযাকাল্লাহ।
কিন্তু  আমি অনেক ওয়াসওসার রোগী।সব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা হয়।তাই আবার জিজ্ঞেস করা।।দোকান আমাদের  নিজেদের,।দোকান আমরা নিজেরাই করবো।কোন কারনে যদি দোকানে আবাসিক মিটার ব্যবহার নাজায়েজও হয় তাহলে দোকানে মুদি মাল বিক্রয় করে আমাদের যে ইনকাম হবে সেটা কি হালাল হবে?? মুদি+ভ্যারাইটিজ মালের দোকান।

২-আমি প্রচুর  ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়সায় ভুগী।মনে হয় কোন কারনে ইনকাম হারাম হবে কি না(যদিও জানি যে হারাম না তবুও)।।হারাম ইনকামে তো ইবাদত কবুল হয় না৷ এমন ভেবে ইবাদতে গাফিলতা আসে৷ আবার মনে হয় এমন কিছু বললাম কি না।।যাতে ঈমান ভংগের কারণ হতে পারে।।বা এমন হলে স্ত্রী তালাক হতে পারে৷ তাহলে তো সারাজীবন গুনাহই হতে থাকবে।।এছাড়াও আরো অনেক বিষয় যে গুলা আমি জানি যে কোন সমস্যা  নাই।।তবুও মন  সন্দেহ দূর হয় না।।মনে হয় যে এখন এইটা হালাল জানলাম বা বুঝলাম কিন্তু যদি এইটা হারাম হয়ে থাকে।এইসব ভাবতে ভাবতে দুনিয়াবি কাজেও মন বসে না।।ইবাদতেও না।।

এর জন্য কি কোন আমল আছে।।বা কি করলে এইসব সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)

জবাবঃ-
(২)
দোকানে আবেসিক মিটার ব্যবহার করা জায়েয হবে না।তবে যদি কেউ দোকানে আবাসিক মিটার ব্যবহার করে নেয়,তবে তার মাল বিক্রি করে লভ্যাংশর টাকা হারাম হবে না।বরং এগুলো জায়েযই থাকবে।


(২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সর্বদা নিজেকে নিয়ে প্রজেটিভ চিন্তাভাবনা করবেন।যথাসম্ভব কোনো বুজুর্গ আলেমের সংস্পর্শে গিয়ে কিছুদিন অবস্থান করে নিজ ঈমান ও আ'মলকে হেফাজত করার চেষ্টা করা।


যখনই ওয়াসওয়াসা হবে,সাথে সাথে আউযু বিল্লাহ পড়ে অজুর সমাপ্ত পূর্ব দু'রাকাত নামেয পড়তে দাড়ায়ে যাবেন।এবং রাব্বে কারমের নিকট বেশী দেশী দু'আ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...