ডিটারজেন্টে ঘোলা পানিতে নাপাক কাপড় ভিছিয়ে রাখার পর, তা যখন তুলে আনা হয়,সেক্ষেত্রে সেটিকে ভালোভাবে নিংড়িয়ে নিলে সেটাকে একবার ধোয়া কাপড় হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
এক্ষেত্রে হাত ও উক্ত নাপাক কাপড় শুকনো থাকলে ও বিষয়টি মাত্র ২/১ সেকেন্ড এর জন্য হলে নামাজ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কাপড়টি যদি এতো বড় হয় যে নামাজির নড়াচড়ার দ্বারা কাপড়ের সেই নাপাক অংশ নড়াচড়া করেছেনা,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৫)
পোশাক আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.
হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে।
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।-বুখারী, হাদীস : ৩৮৮৫
বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
না বাসায় শুধুমাত্র আপনার সামনে আপনার স্ত্রী উক্ত টিশার্ট পরিধান করতে পারবেনা।
এর দরুন পুরুষদের সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে।
তবে এক্ষেত্রে রুমের মধ্যে শুধুমাত্র স্বামীর সামনে নিজেকে আকর্ষনীয় দেখানোর জন্য স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে কখনো কখনো এসব পোশাক পড়ার অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।