বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يَقْتَضِي الْجَوَازَ لِلنِّسَاءِ أَيْضًا لِأَنَّهُ لَمْ يَخُصَّ الرِّجَالَ وَفِي الْأَشْرِبَةِ وَاخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ رَحِمَهُمْ اللَّهُ تَعَالَى فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ لِلنِّسَاءِ قَالَ شَمْسُ الْأَئِمَّةِ السَّرَخْسِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - الْأَصَحُّ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِهَا وَفِي التَّهْذِيبِ يُسْتَحَبُّ زِيَارَةُ الْقُبُورِ
কবর যিয়ারতের বিধানের ব্যপকতার মধ্যে পুরুষ মহিলা সবাই শামিল।কেননা শুধুমাত্র পুরুষের সাথে নির্দিষ্ট হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।মাশায়েখগণ মহিলাদের কবর যিয়ারত নিয়ে মতবেদ করেন।সারাখসী রাহ,মনে করেন,বিশুদ্ধ কথা হল,এতে কোনো সমস্যা নেই।তাহযিব কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,তাদের জন্য কবর যিয়ারত মুস্তাহাব।
কিন্ত যামানার ফিৎনার ধরুণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারতে না যাওয়াই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৯/১৯২)বিস্তারিত আলোচনা (কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২২৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5331
البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري (2/ 210):
"(قوله: وقيل: تحرم على النساء إلخ) قال الرملي: أما النساء إذا أردن زيارة القبور إن كان ذلك لتجديد الحزن والبكاء والندب على ما جرت به عادتهن فلاتجوز لهن الزيارة، وعليه حمل الحديث: «لعن الله زائرات القبور»، وإن كان للاعتبار والترحم والتبرك بزيارة قبور الصالحين فلا بأس إذا كن عجائز، ويكره إذا كن شواب، كحضور الجماعة في المساجد".
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) মহিলারা কবরে গিয়ে যিয়ারত না করে বরং ঘরে বসে ঈসালে সওয়াব করবে।ঘরে বসে নফল ইবাদত করে নিজ পিতা মাতার নামে বখশিয়ে দিবে।
গায়রে মাহরামের ভীড় না থাকলে, তখন নারীরা যিয়ারত করতে পারলেও না করাই সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
(২) হায়েজ অবস্থায় কবরের ভিতরে যাওয়া, কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাটা নাজায়েয নয়।
(৩) পিতা-মাতা মারা গেলে সন্তান হিসেবে আপনার উচিৎ তাতের মাগফিরাতের জন্য সকল প্রকার নেক আমল করা। তাদের কবরের আজাব কমানোর জন্য সকল প্রকার আ'মল করে তাদের মাগফিরাতের জন্য বখশিয়ে দেয়া। বিশেষ করে সূরা মূলক পড়ে, তাদের জন্য এর সওয়াব প্রেরণ করা।
(৪) মৃত পিতা-মাতার কাযা নামাজের জন্য ফিদিয়া আদায় করতে পারবেন । প্রতি নামাযের জন্য এক ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে নিলে আশা করা যায়, ফিদিয়া আদায় হবে।