জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
القسم الأول المحرمات بالنسب وھن الأمہات والبنات والأخوات والعمات والخالات․․․ وأما العمات فثلاث․․․ وکذا عمات أبیہ عمات أجدادہ وعمات أمہ وعمات جداتہ وإن علون․․․․ وأما الخالات․․․․ وخالات آبائہ وأمہاتہ (عالم گیري: ۱/۲۷۳، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ বাবার চাচা,দাদার চাচা,মায়ের চাচা,নানীর চাচা,বাবার খালা মায়ের খালা
শরীয়তের বিধান মতে নানীর বোন,দাদির বোন মাহরাম। তাদের দেখা সাক্ষাৎ করা জায়েয।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৭৩)
আরো জানুন
★দাদার ভাই হচ্ছে নিজ বাবার চাচা আর বাবার চাচা মানে নিজের চাচা, যেহেতু নিজের চাচা মাহরাম।তাই বাবার চাচা তথা দাদার ভাইও মাহরাম।
★দাদীর ভাই বাবার মামা,নিজ বাবার মামা মানে নিজের মামা,তাই দাদির ভাই মাহরাম।
★ঠিক তেমনি নানির ভাই,নিজ মা'য়ের মামা,আর মা'য়ের মামা মানে নিজের মামা,তাই নানার ভাই মাহরাম।
★তেমনি নানার ভাই, নিজ মা'য়ের চাচা,আর মা'য়ের চাচা মানে নিজের চাচা,তাই নানার ভাই মাহরাম।
★পুরুষ মহিলার জন্য মাহরাম হচ্ছে ঐসব পুরুষ বা মহিলা যাদের সাথে উক্ত পুরুষ বা মহিলার বৈবাহিক সম্পর্ক চিরতরে হারাম; সেটা ঘনিষ্ট আত্মীয়তার কারণে।
,
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
,
আরো জানুনঃ
,
(২.৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলাদের জন্য মাহরামের সামনে সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর।
,
তবে মাহরামদের সামনে যাওয়ার সময়েও সমাজ হিসেবে যা শালীন, ও তাকওয়া প্রকাশক করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
(وَمِنْ مَحْرَمِهِ) هِيَ مَنْ لَا يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُهَا أَبَدًا بِنَسَبٍ أَوْ سَبَبٍ وَلَوْ بِزِنًا (إلَى الرَّأْسِ وَالْوَجْهِ وَالصَّدْرِ وَالسَّاقِ وَالْعَضُدِ إنْ أَمِنَ شَهْوَتَهُ) (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى النظر والمس-9/527-528)
যার সারমর্ম হলো যদি ফিতনার আশংকা না থাকে,তাহলে মাহরামদের সামনে উক্ত অঙ্গ গুলো খোলা রাখা জায়েজ আছে, কোনো সমস্যা নেই।
,
★সুতরাং বাড়িতে থাকা অবস্থায় যদি মাহরাম ছাড়া আর কেউ না থাকে,তাহলে ফিতনার আশংকা না থাকে,তাহলে মাহরামদের সামনে মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ খোলা রাখা জায়েজ আছে, কোনো সমস্যা নেই।
★ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""বাসায় নন মাহরাম কেউ না থাকলেও মাথায় ওড়না দিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
বাসায় শুধু স্বামী,মাহরাম পুরুষ,আর মহিলারা থাকলেও মাথায় ওড়না দিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
এতে কোনো গুনাহ হবেনা।
,
(৪.৫)
ঘরে গায়রে মাহরাম কোনো পুরুষ না থাকলে ""মাথায় কাপড় দিয়ে বসে থাকতে হবে""
এমন কোনো হাদীস,বিধান নেই।
,
ফিতনার আশংকা না থাকলে খোলা রাখা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ