ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রতি ওয়াক্তের আগে ঐ ওয়াক্তের কা'যা আদায় করে নিলে, কা'যা আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
وكره تركهما للمسافر لا لمصل في بيته في المصر و ندبا لهما
মুসাফিরের জন্য আযান-ইক্বামত উভয়টিকে তরক করা মাকরুহ।তবে ঘরে একাকী নামায আদায়কারী মুক্বিম ব্যক্তির জন্য মাকরুহ হবে না।যদিও মুক্বিম মুসাফির উভয় প্রকার ব্যক্তিদের জন্য আযান-ইক্বামত দেওয়া মুস্তাহাব/উত্তম।(কানযুদ্দাক্বাইক্ব-১/২৬৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুনফারিদ(একাকি ঘরে নামায আদায়কারী) ব্যক্তির জন্য আযান-ইক্বামত দিয়ে নামায পড়া উত্তম।কিন্তু যদি মহল্লায় একবার আযান-ইক্বামত হয়ে যায়,তাহলে পরবর্তীতে কোনো মুক্বিমর ব্যক্তি আযান-ইক্বামত ব্যতীত নামায পড়লে সে নামায মাকরুহ হবে না।কেননা মহল্লায় একবার আযান হয়ে গেলে আযানের সুন্নত আদায় হয়ে যায়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/২৯৮)
জামাত হয়ে যাওয়ার পর মুনফারিদের জন্য মসজিদে আযান ইকামত দ্বারা নামায পড়া মাকরুহ।জামাতের পূর্বে উচ্ছস্বরে মাকরুহ।(আহসানুল ফাতাওয়া২/২৭৯)
মসজিদে একাকি কা'যা নামাযের জন্য আযান ইকামত প্রচলিত নয়।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম৪/২৪৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1725
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি মসজিদ ব্যতিত অন্যত্র মাগরিবের নামাযকে কা'যা করার নিয়ত করে থাকেন, তাহলে আপনি জন্য আজান ইকামতের সাথে কা'যা করা উত্তম ছিলো। তবে আজান না দেয়ার কারণে আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হয়নি।