আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতূহ সম্মানিত উস্তায
আজকে আমি ইস্তিখারা করি ১.২৪ এর দিকে ঘুমাতে আসি এবং স্বপ্ন দেখি-

★একবার সজাগ হয়ে আমার ভাইয়ের ছেলের dress চেঞ্জ করে দিয়েছি তখন মনে হয়েছিল ভয়ংকর কিছু দেখেছি অস্থিরতা কাজ করছিল কিন্তু মনে করতে পারছি না স্বপ্ন অস্পষ্ট
এরপর আবার ঘুমিয়ে যাই তখন স্বপ্ন দেখি-
★আমি আমাদের ভার্সিটিতে গিয়েছি।সেখানে আমার আব্বা ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে। আব্বার বয়স কিছুটা কম লাগছে,খুব পারদর্শী এবং বর্তমানের চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছিল।আমার ভাইয়া আব্বাকে যাতায়াতে হেল্প করেছে এবং করছে আমাদের ক্যাম্পাসেই।(এখানে  আরও দেখেছি মনে নেই ঠিক)
আমি ক্লাস করে বাসায় আসতে ছিলাম।কিন্তু আব্বাকে দেখতে না পেয়ে একাই আসতেছি।এমনসময় দেখি একটা রাস্তা ডুবে গেছে পানিতে।সেখানে যান চলাচল সম্ভবত বন্ধ ছিল,২/১ টা রিক্সা বা অটো চলছিল,  মানুষজনও কম।সেনাবাহিনীরা সেখানে দায়িত্বরত এটা বুঝতে পারছিলান।আমি পানি দিয়েই যেতে যেতে অনেকখানি পথ গিয়েছি।এমন সময় একজন দায়িত্বরত নারীসেনা আসে এবং আমাকে বলে সামনে যাওয়া যাবে না।যেদিক দিয়ে আসছো সেদিকেই চলো।উনি আমাকে নিয়ে আসছে, দুজনে বেশ গল্প করতে করতে আসছিলাম এবং আমাদের বাড়ির কাছাকাছি এসে আমার পরিচিত কয়েকজনের সাথে পরিচয়ও করিয়ে দিচ্ছিলাম।
এরপর দেখি আমাদের পুরান বাড়ির রাস্তায় কাদা।তাই হাটতে ইতস্তবোধ করছিলাম।এমন সময় আমার কাজিন জানায় তার মেয়ে এখানে তাদের বাড়িতে,ওর সাথে আমার সখ্যতা দারুন ছিল।এরপর ওর সাথে কথা বলে সেই নারীসেনার সাথে সামনে যাচ্ছিলাম পাশেই দেখি অনেক বড় সাপ।ভয় পাচ্ছিলাম খুব।এজন্য আমি সাইড দিয়ে হাটছিলাম।এরপর একটু সামনে গিয়ে উনি(নারীসেনা) আমাকে দেখায় কিছু স্যাতস্যাতে কাঁদার মধ্যে লালচে জীবীত সাপ পরে আছে এখানে ওখানে,আমি ঘৃনা এবং ভয়ে দ্রুত মাচায়(দরজায় একটা মাচা আছে সবাই বিশ্রাম করে ওখানে) উঠি.সামনে আর অগ্রসর হবো না এমনটা জানাই সেই নারীসেনাকে।
এরপর আমি আমার মেজ কাকার বাসায় আসি এবং দেখি কাকার অনেএএএক বই। আমি বই দেখে খুব খুশি হই এবং কাকাকে বলি এতো বই কীভাবে সংগ্রহ করলেন!এগুলো আমার উইশ লিস্টের বই।কাকা জানায় বড়োমিয়ার কাছে আরও বই আছে।
আমি আমার বড়োকাকার বাসায় গেলাম।কাকাই ডেকেছিল।কাকিকে দেখেছি কীনা মনে নেই(কাকি মৃত) কাকার ঘরে যাই এবং বড়ো কাকা আমাকে অনেএএএএএএএক বই নামিয়ে দেয়,অন্ধকার ঘর আমি আর কাকা একা।আমি বই দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছি।সকল বই আমার খুব প্রিয় এবং উইশ লিস্টের। সবই ইসলামিক বই।খুব খুশি হয়েছিলাম।
এরপরই আমার ভাবি ফজরের সলাত আদায়ের জন্য ডেকে দেন।
[বি.দ্র. এখানে ভার্সিটি দেখি আমাদের এলাকার প্রাইমারি স্কুল রাস্তা পানি ডুবে যাওয়া এটা ছিল আমাদের ঢাকার বাসায় যাওয়ার, মিরপুর ডিওএইচএস এর ওদিকের একটা রাস্তা,পরেরগুলো দেখি গ্রামের বাড়ির সিনারিও]
ইস্তিখারায় মন ধাবিত হওয়াই মেইন।তবুও আমি জানতে চাচ্ছি এ স্বপ্নের দ্বারা ইস্তিখারায় কী ইঙ্গিত করছে?পজিটিভ নাকি নেগেটিভ

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)

 

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লহির রহমানির রহীম

জবাব,

https://ifatwa.info/13381/   ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,  

ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমার হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯)

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1472

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বপ্নের বিবরণ থেকে কিছু পজিটিভ আলামত পাওয়া যাচ্ছে এবং কিছু নেগেটিভ সাইনও পাওয়া যাচ্ছে। অতএব নিশ্চিত ভাবে ইস্তেখারার ফলাফল পেতে আপনি পুনরায় ইস্তেখারা করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আশা রাখি পরবর্তী ইস্তেখারার মাধ্যমে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে ইনশাআল্লাহ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...