বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/87060/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْهَا
قَالَتْ: مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لنَفسِهِ
شَيْئًا قَطُّ بِيَدِهِ وَلَا امْرَأَةً وَلَا خَادِمًا إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي
سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا نِيلَ مِنْهُ شَيْءٌ قَطُّ فَيَنْتَقِمُ مِنْ صَاحِبِهِ
إِلَّا أَنْ يُنْتَهَكَ شَيْءٌ مِنْ مَحَارِمِ اللَّهِ فينتقم لله. رَوَاهُ مُسلم
'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সা.) আল্লাহর পথে জিহাদরত অবস্থা ছাড়া কখনো কাউকেও স্বীয় হাতে প্রহার করেননি। নিজের
স্ত্রীগণকেও না, সেবককে না। আর যদি তার দেহে বা অন্তরে কারো পক্ষ হতে কোন প্রকারের
কষ্ট বা ব্যথা লাগত, তখন নিজের ব্যাপারে সেই লোক হতে কোন প্রকারের প্রতিশোধ নিতেন
না। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ করে বসত, তখন আল্লাহর সন্তুষ্টির
লক্ষ্যে শাস্তি দিতেন।
সহীহঃ মুসলিম ৭৯-(২৩২৮), মুসনাদে আহমাদ
২৪০৮০, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৫০৭, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১৭৯৪২, মুসনাদে ‘আবদ
ইবনু হুমায়দ ১৪৮১, আবূ ইয়া'লা ৪৩৭৫,
সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৮৮, শু’আবূল ঈমান ১৪২৪, আস সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৯১৬৩, দারিমী ২২১৮, আল মুজামুল আওসাত
৫৪২৮, আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ১৩৬৮৩।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শিশুদের ১০ বছরের আগে প্রহার করা
যাবেনা। আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
নাবী ﷺ বলেছেন,
“তোমাদের সন্তানদের বয়স সাতবছর হলে তাদেরকে নামাজ পড়ার নির্দেশ
দাও। যখন তাদের বয়স দশবছর হয়ে যাবে, তখন (নামাজ আদায় না করলে) তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা
আলাদা করে দিবে।” [আবু দাউদ,
হা/৪৯৫;
আলবানী হাদীসটিকে ‘ইরওয়াউল গালীল’ গ্রন্থে (১/২৬৬; হা: ২৪৭) সহীহ
বলেছেন।]
তাদেরকে গালি গালাজও করা যাবেনা।
عَنْ
عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ
البَذِيءِ.
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন
কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং
কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]
হাদীস শরীফে এসেছে-
قَالَ
عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ
المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»
‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কোন মুসলিমকে
গাল দেয়া ফাসিকী কাজ (জঘন্য পাপ) আর কোন মুসলিমকে হত্যা করা কুফরী। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭০৭৬]
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-২. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতির মধ্যে রেখে সঠিকভাবে
নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য কঠোরতা অবলম্বন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ১০ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের
প্রহার করা যাবেনা,গালি দেয়াও যাবেনা।
ধমক দেয়া যেতে পারে। বেশি সমস্যাকর
মনে হলে কান ধরে উঠা বসা করানো যেতে পারে বা তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদেরকে দিয়ে
ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ও তার চেয়েও
বড় শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে প্রহার করা যাবে।
তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে
চলতে হবে, যেমনঃ চেহারায় প্রহার করা যাবেনা,লজ্জাস্থান তথা
স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/5263/
৩. এমন চিন্তা ধারা ও এমন কথা বলা
ঠিক নয়। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যে, তারা শিশুদেরকে প্রহার করে না। তবুও সেখানে লেখাপড়া অনেক ভালো
হয়। এর দ্বারা বুঝে আসে যে,
শিশুদেরকে প্রহার করা ছাড়াও ভালো লেখাপড়া করানো সম্ভব। তাই
শিশুদেরকে প্রহার করা ছাড়া ভালো লেখাপড়া করানো সম্ভব নয় এমন চিন্তাধারা থেকে বের
হওয়া আবশ্যক।
৪. এটা আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।