ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
"যিনা হারাম, এটা আল্লাহর বিধান।"
"যারা যিনা করে,তারাও শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে পায়, আল্লহর হুকুমে করে। কেননা, তাদেরকে যিনা করার যোগ্যতা বা যিনা থেকে বেচে থাকার যোগ্যতা , উভয়টিই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয় । কিন্তু বেচে নেয়ার দায়িত্ব বান্দার। বান্দার বেচে নেয়ার উপর ফল ভোগ করবে। অর্থাৎ আকিদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইস্তেতাআত তথা কাজের যোগ্যতা আল্লাহই দান করেন। বান্দাকে নেক কাজের সামর্থ্য এবং বদ কাজের সামর্থ্য উভয়টিই আল্লাহ দান করেন। কেউ যদি যিনা করে, তাহলে একথা বলা যাবে যে, এ যিনা করার মত সুযোগ বা সামর্থ্য হত্যা করার মত সামর্থ্য সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কিছুই করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যিনা না করার এবং হত্যা না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নেক কাজ করার হুকুম আল্লাহর তরফ হতে এসেছে, এবং বদ কাজ থেকে বেচে থাকার হুকুম আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে। তবে নেক কাজ বলেন, আর বদ কাজ বলেন, সবকিছুই আল্লাহ প্রদত্ব যোগ্যতা ও সামর্থ্য দ্বারা হয়ে থাকে। আল্লাহ সামর্থ্য না দিলে কেউ কোনো কাজ করতে পারবে না। নেক কাজও পারবে না,এবং বদ কাজও পারবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/24185
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ভাগ্য বলতে তাকদীরকেই বুঝানো হয়। ভাগ্য বা তাকদীর পুর্ব থেকেই নির্ধারিত ও লিখিত।তাকদীর দুই প্রকার মু'আল্লক ও মুতলাক।
(২) কারও ভাগ্যে যদি লেখা থাকে যে সে খুন করবে, তারপর যদি একদিন সে খুন করে ফেলে, তাহলে সেটার দ্বায়ভার তাকে নিতে হবে। কেননা খুন করা বা না করাকে বাচাই করার যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন।এই বাচাই করার কারণেই আল্লাহ মূলত ঐ ব্যক্তিকে শাস্তি দিবেন।
(৩) যে আমার সে আমারই হবে, তাকে পাওয়ার জন্য কোনো যুদ্ধ করতে হবে না, এই কথাটা সঠিক।
(৪) জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই ৩টি বিষয় আগে থেকেই নির্ধারিত।তবে দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে।