আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্,
এক বোনের বিয়ের কথা চলছে,  ছেলে বিকাশ কোম্পানিতে এজিএম হিসেবে আছেন।  যেহেতু বিকাশ সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্র্যাক দ্বারা পরিচালিত হয়, আর ব্র্যাক এর দর্শনতো ইসলাম বিদ্বেষী।  এক্ষেত্রে ঐ পাত্রের উপার্জিত অর্থ কি হালাল?
আর যদি হারাম ও হয়, বোনের পরিবার যেহেতু হারাম হালালের বিষয়ে খুব একটা সচেতন নয়।  তাছাড়া বোনের বয়সও ৩০+ চলছে।  কিন্তু বিয়ে এগুচ্ছে না।  সেক্ষেত্রে তার পরিবার হয়তো ছেলেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান আর নরম চরিত্রের জন্য  এই প্রোপাজালে রাজি হয়ে যাবে।  এবং বোন বোঝালেও হয়তো তারা বুঝতে চাইবেন না। সেক্ষেত্রে করণীয় কি হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ব্যাংকের সুদি সেক্টরে চাকুরী করা সম্পূর্ণ হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/398

ব্যাংকের টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) এবং ডাক বিভাগের মানি অর্ডারের সহজ বিকল্প হিসেবে বর্তমান মোবাইল ব্যাংকিং সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের কাজ করে থাকে। ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে শ্রম/সেবা গ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’।আর এজেন্ট হচ্ছে শ্রম/সেবাদাতা যাকে বলা হয় ‘আজীর’ (বা মূল‘আজীরে’র প্রতিনিধি)।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/36025

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিকাশ যেহেতু টাকা আদান প্রদানের কাজ করে থাকে, এবং এটাই বিকাশের মূখ্য উদ্দেশ্য।হয়তো তাতে সুদের কিছু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।তবে তা নিতান্তই কম।সুতরাং বিকাশের ঐ সব ডিপার্টমেন্ট যেখানে সুদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই, বিকাশের সেই সব ডিপার্টমেন্টে কাজ করা যাবে।অনুমোদন রয়েছে। বিকাশের কোনো ডিপার্টমেন্ট যদি সুদি কাজে সরাসরি সহযোগিতা করে করে, তাহলে সেইসব ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করা জায়েয হবে না।

স্বামীর ইনকাম হারাম হলে স্ত্রীর করণীয় কি?
সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/782

সম্মাণিত দ্বীনী বোন!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।নিজে নিজে পাত্র দেখে বিয়ে করাটা যদিও জায়েয।তবে তা অদ্য কোনো মুসলিম/ মুসলিমার জন্য সমুচিত হবে না।এক্ষেত্রে লজ্জার বিষয়টাও বিবেচ্য।হ্যা পরিবার সাধারণত যেরকম পাত্রর কথা বলে থাকে,সেরকম পাত্রকে বিয়ে করাটাও আবার নাজায়েয হবে না।কেননা শুধুমাত্র ঈমান এবং আক্বিদা-বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকলেই তার সাথে বিয়েনশাদী বৈধ থাবে।যদিও তা উত্তমতার খেলাফ।

আপনারা ফ্যমিলির সদস্যবৃন্দকে বুঝাতে থাকবেন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকবেন।বলা তো যায় না কখন আপনার দু'আ আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...