বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহের কাজ ব্যতীত ভাল ও উত্তম কাজে মাতাপিতা ও স্বামীর আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃবলেন-
لا طاعة في معصية إنما الطاعة في المعروف
গোনাহের কাজে কারো বশ্যতা স্বীকার করা যাবে না।(শরীয়ত যাদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আদেশ দিয়েছে তাদের) আদেশ শুধুমাত্র বৈধ ও নেকীর কাজে মানা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো বিধিনিষেধ কে মান্য করা যাবে না।(মুসনাদে আহমাদ-১০৯৮)
চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,
"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى
শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)
মাতাপিতা ও স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা আদেশকৃত ব্যক্তিরবর্গের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ঐ বোনের উচিৎ নিজ স্বামীকে রাজি ও খুশী করে তার অনুমতি সাপেক্ষ্যে নার্সিং কলেজে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া।স্বামীরও উচিৎ এ মহৎ কাজের জন্য নিজ স্ত্রীকে অনুমতি দিয়ে দেওয়া।কেননা মহিলা রোগীর জন্য মহিলা সেবিকা/নার্স হওয়া অত্যান্ত জরুরী বিষয়।সুতরাং স্বামীর উচিৎ এরকম কাজের প্রস্তুতির জন্য নিজ স্ত্রীকে অনুমতি দিয়ে দেয়া।
স্বামীকে বুঝানোর পরও যদি স্বামী তার স্ত্রীকে অনুমতি না দেয়,তাহলে স্ত্রীর জন্য তখন নার্সিং কলেজে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া জায়েয হবে না।