আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রেমের সম্পর্কে ছিলাম। বর্তমানে সেখান থেকে সরে এসেছি। কিন্তু তারপরেও কয়েকবার যোগাযোগ হয়ে গিয়েছিল। আমার মধ্যে আল্লাহর রহমতে হারাম সম্পর্ক এর ব্যাপারে বুঝ আসলেও আমার প্রেমিকের মধ্যে আসেনি।তাকে আমি বলেছিলাম আমাদের সম্পর্ক টা হারাম। আমাদের এ সম্পর্ক রাখা ঠিক না। আমি এই সম্পর্ক রাখতে পারবো না। বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।তখন সে বলেছিল ঠিক আছে। এরপর অনেক দিন কথা হয়নি।তারপর বেশ কিছুদিন পর সে কল দিয়ে খোঁজ নেয়।তারপর আবার অনেক দিন পর কল দেয়। এভাবেই একটু কথা বলা হয়েছিল।সে আমাকে বলে সম্পর্ক না হয়  রাখলাম না বন্ধুত্ব তো রাখতে পারি। একেবারে যোগাযোগ না রাখলে তো ভুলে যাব। সে ভালো মতো না বুঝার কারণে  মাঝে মধ্যে কল দিয়ে সামান্য যোগাযোগ রাখতে চায়।মনে করে এতে কোনো সমস্যা নেই। তার আর আমার বাসা অনেক দূরে । আমাদের কথা হয় শুধু,দেখা হয় না।সে আসলে হারাম সম্পর্ক এর ব্যাপারে বেশি জানে না।

১)এখন আমি কি তাকে এ ব্যাপারে জানাতে ও বুঝাতে পারবো?এ বিষয়ে ওয়াজ তাকে দিতে পারবো?আমি তার অনেক ভালো চাই ।তাই আমি চাই যে এ বিষয়ে তাকে সাহায্য করতে।যাতে তার ও ভালো হয়।সেও ইসলামের পথে আসে।তাই আমি তাকে সাহায্য করতে পারবো?আমি তাকে সাহায্য করলে কি আমার গোনাহ হবে? আর এতে যদি সে হারাম সম্পর্ক আর না করে ইসলামের পথে আসে তাহলে কি আমার সওয়াব হবে??

২)সে অনেক ভালো মানুষ। তাই মন থেকে তার জন্য দোয়া চলে আসে। তার জন্য কি যেকোনো দোয়া করতে পারি?

৩) ফেইসবুকে তার সাথে এখনো ফ্রেন্ডশিপ আছে। তার পোস্ট আমি দেখি না।সামনে আসলে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করি।তাকে নিয়ে আমি সারাদিন কোনো চিন্তা করি না।আমার ফেইসবুকে আমি আমার কোনো ছবি পোস্ট দেই না।তাই সে আমাকে দেখতে পায় না। আমাদের বাসা অনেক দূরে।তাই পরে যদি তাকে বিয়ে করতে চাই তাহলে কিভাবে যোগাযোগ রাখবো? এক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজন এর জন্য তার সাথে ফেইসবুকে ফ্রেন্ডশিপ রাখতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/69174/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, বিবাহ পূর্ব প্রেম পুরোপুরি নাজায়েজ।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ  হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/

গোনাহের শাস্তি ও তাওবা সম্পর্কে জানুন- https://www.ifatwa.info/906

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. প্রথমেই আপনাকে সাধুবাদ জানায় যে, আপনি আল্লাহর জন্যই হারাম রিলেশন ত্যাগ করার ডিসিশন নিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সবর করার তৌফিক দান করুন। আপনার জন্য সব কিছু সহজ করে দিন। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, আপনি নিজে ঐ মেয়েকে বুঝাতে গিয়ে কোন ইমোশনাল ব্লাকমিল হওয়ার বা অন্য কোন ফেতনায় পড়ার প্রবল সম্ভবনা থাকায় আপনি নিজে তাকে উক্ত কথাগুলি না বলে অন্য কাউকে দিয়েও বলাতে পারেন বা তাকে রিলেশন হারাম হওয়ার বিষয়টি অবগত করতে পারেন। কারণ, শয়তান প্রতিনিয়ত অপচেষ্টা করছে উক্ত হারাম সম্পর্কে আপনাদেরকে লিপ্ত রাখতে। বিধায় বন্ধু হিসেবেও কথা বলা জায়েয নেই।

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ মেয়ের সাথে কথা-বার্তা, দেখা সাক্ষাত করা, মেসেজ করা, মেসেজের উত্তর ও আপনার জন্য হারাম ও কবিরা গোনাহ। ইসলাম এগুলোর অনুমতি দেওয় না। করলে গোনাহ হবে। তাই এগুলো পরিহার করা চায় এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা ও তাওবা করতে হবে।

প্রিয় ভাই! প্রথম থেকেই তার সাথে কথা-বার্তা না বললে এমন হতো না। এখন যেমন কষ্ট অনুভব হচ্ছে। তারপরও আল্লাহ তায়ালার জন্য জাহান্নামের ভয়ে  ঐ মেয়ের সাথে কথা-বার্তা, দেখা সাক্ষাত করা, মেসেজ করা, মেসেজের উত্তর দেওয়া সব কিছু বন্ধ করে দিবেন। কারণ,

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي عَذَابِ جَهَنَّمَ خَالِدُونَ. لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ. وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوا هُمُ الظَّالِمِينَ. وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ۖ قَالَ إِنَّكُم مَّاكِثُونَ

নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে। তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে। আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল জালেম। তারা ডেকে বলবে, হে মালেক, পালনকর্তা আমাদের কিসসাই শেষ করে দিন। সে বলবে, নিশ্চয় তোমরা চিরকাল থাকবে। সূরা যুখরুফ, আয়াত নং-৭৪-৭৭

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِسِ بْنِ جَزْءٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ فِى النَّارِ حَيَّاتٍ كَاَمْثَالِ الْبُخْتِ تَلْسَعُ اِحْدَهُنَّ الْلَسْعَةَ فَيَجِدُ حمَوَتَهَا اَرْبَعِيْنَ خَرِيْفًا وَاِنَّ فِى النَّارِ عَقَارِبَ كَاَمْثَالِ الْبِغَالِ الْمُؤْكَفَةِ تَلْسَعُ اِحْدَهُنَّ الْلَسْعَةَ فَيَجِدُ حَمْوَتَهَا اَرْبَعِيْنَ خَرِيْفًا.

আব্দুল্লাহ ইবনে হারেস ইবনে জাযয়ে (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে ‘খোরাসানী উটের ন্যায় বিরাট বিরাট সাপ আছে। সে সাপ একবার দংশন করলে তার বিষ ও ব্যাথা চল্লিশ বছর পর্যন্ত থাকবে। আর জাহান্নামের মধ্যে এমন সব বিচ্ছু আছে যা পালান বাঁধা খচ্চরের মত। যা একবার দংশন করলে তার বিষ ব্যথার ক্রিয়া চল্লিশ বছর পর্যন্ত অনুভব করবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৫৬৯১)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ غِلْظَ جِلْدِ الْكَافِرِ اِثْنَانِ وَاَرْبَعُوْنَ ذِرَاعًا وَاِنَّ ضِرْسَهُ مِثْلُ اُحُدٍ وَاِنَّ مَجْلِسَهُ مِنْ جَهَنَّمَ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِيْنَةِ.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হবে বিয়াল্লিশ হাত মোটা, দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং জাহান্নামীদের বসার স্থান হবে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী ব্যবধান পরিমাণ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৬৭৫; হাদীছ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৩১)।

২. তার হেদায়াতের জন্য দোয়া করা জায়েয আছে। মনে রাখা উচিত যে, শয়তান মানুষকে অনেক নেক ছুরতে ধোকা দেয়। বাহ্যত মনে হতে পারে নেক কাজ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা শয়তানের ধোকা।

৩. জ্বী ফেসবুকে তাকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখাটাও উচিত হবে না। কারণ, যেকোন নেক ছুরতে শয়তান ধোকা দিতে পারে। বিধায় আপনার প্রধান কাজ তো হল, আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে তাওবা করা এবং এই পাপে পুনরায় পতিত হওয়ার সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন। এক কথায়, মেয়েটির সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিন। যোগাযোগ বন্ধ করার কারণে মেয়েটি যদি মনোকষ্ট নেয় তাহলে আপনার কোনো গুনাহ তো হবেই না; বরং নিজে গুনাহ থেকে বাঁচার এবং ছেলেটিকে গুনাহ থেকে বাঁচানোর সাওয়াব পাবেন।

তার কথা মনে পড়ে, এমন কোনো কাজ, স্থান সবকিছু থেকেই দূরে থাকবেন। মনের কামনার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রধান অস্ত্র হল ঈমান। ঈমান সুদৃঢ় রাখতে হবে। ধৈর্য ও মনের দৃঢ়-সংকল্পতা এবং সুপুরুষের মত মনের স্থিরতা। মনের খেয়াল-খুশীকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দৃঢ়-সংকল্প হোন, যে আপনি ঐ শয়তানী কুমন্ত্রণায় সায় দেবেন না। অতএব ধৈর্যের সাথে শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন এবং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।

নির্জনতা ত্যাগ করুন। কারণ, নির্জনতায় ঐ শ্রেণীর কুবাসনা মনে স্থান পায় বেশী। অতএব সকল অসৎ-চরিত্রের বন্ধু থেকে দুরে থেকে সৎ-বন্ধু গ্রহণ করে বিভিন্ন সৎ আলোচনায় প্রবৃত্ত হোন।  আল্লাহর যিকরে মনোযোগ দিন। বিভিন্ন ফলপ্রসু বইপুস্তক পাঠ করুন। সম্ভব হলে সে জায়গা একেবারে বর্জন করুন, যে জায়গায় পা রাখলে তার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফোন/মেসেজ এলে তার উত্তর দিবেন না।

প্রত্যেক নামাযের পর দৈনিক অন্তত পাঁচ বার কিছু সময়ের জন্য- দুই থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য আল্লাহর সান্নিধ্যের মুরাকাবা করুন। মুরাকাবা এভাবে করবেন- চোখ বন্ধ করবেন। তারপর ভাববেন, ‘আমি যেখানেই থাকি না আল্লাহ আমার সাথে আছেন। নিজেকে হেফাজতে রাখার জন্য আপনি অনতিবলম্বে শরিয়তসিদ্ধ পথ গ্রহণ করুন। সেটা হচ্ছে-বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমে আপনি পুনরায় এ জাতীয় হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আর যদি ফেতনায় পড়ার আশঙ্কা না থাকে তাহলে কি তাকে বোঝানো যাবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...