মহিলারা সেজদায় গিয়ে পেট রানের সাথে এবং বাহু কে বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে,কনুই জমিনের উপর বিছিয়ে দিবে।
পক্ষান্তরে পুরুষেরা পেটকে রান থেকে,বাহুকে বগল থেকে এবং কনুইকে জমিন পৃথক রাখবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَفْصٌ عَنِ الْجَعْدِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَنِ ابْنَةٍ لِسَعْدٍ أَنَّهَا كَانَتْ تُفْرِطُ فِي الرُّكُوع تَطَأْطُؤًا مُنكَرَاً ، فَقَالَ لَهَا سَعْدٌ : إنَّمَا يَكْفِيك إذَا وَضَعْت يَدَيْك عَلَى رُكْبَتَيْك.
আয়েশা বিনতে সা’দ থেকে বর্ণিত, তিনি রুকুতে খুব বেশী ঝুঁকতেন যা দৃষ্টিকটু। অতঃপর হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. তাকে বললেন: তোমার দুই হাত হাঁটুতে রাখলে তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। (ইবনে আবী শাইবা-২/৪৫২, হাদীস নং- ২৫৯২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সিজদার পুরো সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং নামাযও হয়ে যাবে। তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে।
(রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মহিলারা সেজদায় গিয়ে পুরুষদের মতো নয়,বরং একপাশ (ডানদিকে বের) করে এক পা এর উপর আরেক পা রাখবে।
সিজদায় কোমর একটু হলেও উঠে গেলে নামাজ হয়ে যাবে।
তদুপরি যতটা সম্ভব, কোমর জমিনের সাথে লেগে রাখার চেষ্টা করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
5068 – عبد الرزاق عن معمر عن الحسن وقتادة قالا إذا سجدت المرأة فإنها تنضم ما استطاعت ولا تتجافى لكي لا ترفع عجيزتها
হযরত হাসান বসরী ও কাতাদা রহ. বলেন-“মহিলা যখন সেজদা করবে তখন সে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সেজদা দিবেনা যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে”। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩)
(০২)
এমতাবস্থায় ২ পা লাগিয়ে রাখবেন।
এক্ষেত্রে কাহারো ২ পায়ের মাঝে কিছুটা দুরত্ব হলেও সমস্যা নেই।
তবে পুরুষদের মতো যেনো না হয়,সেদিলে খেয়াল রাখবেন।
(০৩)
সহ শিক্ষার বিধান জানুনঃ-
আপনার পক্ষে যদি সহ শিক্ষার যাবতীয় শর্তাবলী মানা একেবারেই অসম্ভব হয়,গুনাহে,হারামে পতিত হওয়ার পূর্ন সম্ভাবনা থাকে,সেক্ষেত্রে এটা ছাড়তে পারেন।
এক্ষেত্রে তাদেরকে বলে ছেড়ে দেয়াই উচিত।
হাজারো বলার পরেও তারা রাজি না হলে সেক্ষেত্রে কেবল মাত্র উপরোক্ত পরিস্থিতিতে আপনি তাদের না জানিয়ে ছাড়তে পারেন।