আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার প্রসব পরবর্তী নিফাস মোটামুটি ৪০ দিনের আগেই শেষ হয়। সাদাস্রাব আসার পর আমি স্বলাতও শুরু করি। কিন্তু দুদিন বাদে আবার একটু ব্লাডি শো দেখে স্বলাত অফ করি এবং ৪০ দিন হওয়ার অপেক্ষা করি। কিন্তু ৪০ দিন পরেও হালকা কালচে ব্লাডি শো থাকে। ৪০ দিনের পর নিফাস থাকে না এটা জেনে আমি পরিষ্কার হয়ে ৪১ তম দিন থেকে স্বলাত শুরু করি। এখন আমার বাচ্চার ৫৪ দিন। গত দুদিন থেকে আবার ব্লাডি শো দেখতে পাচ্ছি। পিচ্ছিল কালচে লাল ধরণের। আমি ওয়াশরুমে গিয়ে চেক করলেই শুধু এটা পাচ্ছি।  এমনিতে তেমন বুঝি না।

এক্ষেত্রে আমার স্বলাতের হুকুম কী হবে?


বি.দ্র.: আমি ৪১ তম দিন থেকে এখন পর্যন্ত স্বলাত কন্টিনিউ করছি।
যেহেতু স্বলাতের বিষয় তাই একটু দ্রুত উত্তর আশা করছি মিন ফাদ্বলিক।

জাযাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

মাসআলাঃ
সন্তান প্রসব হওয়ার পর পেশাবের রাস্তা দিয়া যে রক্তস্রাব হয়, তাহাকে নেফাস বলে। নেফাসের মুদ্দত ঊর্ধ্ব সংখ্যায় চল্লিশ দিন। চল্লিশ দিন অপেক্ষা বেশী নেফাস হইতে পারে না। কমের কোন সীমা নাই। যদি কাহারও এক দুই ঘন্টা মাত্র রক্তস্রাব হইয়া রক্ত বন্ধ হইয়া যায়, তবে মাত্র ঐ এক দুই ঘণ্টাকেই নেফাস বলা হইবে।

মাসআলাঃ
যদি কোন মেয়েলোকের প্রসবান্তে চল্লিশ দিনের বেশী রক্তস্রাব হয় এবং তাহার ইহাই প্রথম প্রসব হয়, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত নেফাস ধরিতে হইবে। চল্লিশ দিন যখন পুরা হইবে, তখন গোছল করিয়া নামায পড়িতে হইবে। আর যদি ইতিপূর্বে আরও সন্তান প্রসব হইয়া থাকে এবং তাহার নেফাসের মুদ্দতের কোন নিয়ম থাকে, তবে নিয়মের কয়দিন নেফাস হইবে, বেশী কয়দিন ইস্তেহাযা হইবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিফাসের ৪১ তম দিনও রক্তস্রাব চললে, যদি এটা তার প্রথম সন্তান প্রস্রব হয়,তাহলে ৪১ তম দিন থেকে ঐ রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা গণনা করা হবে। আর যদি ইতিপূর্বে কোনো নিয়ম থাকে, তাহলে সেই কয়দিন নেফাস এবং অতিরিক্ত দিন সমূহ ইস্তেহাযা হইবে। ইস্তেহাযার বিধান হল, প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে ঐ অজু দ্বারা ঐ ওয়াক্তের ভিতর সকল প্রকার ইবাদত করা যাবে, ওয়াক্ত চলে গেলে নতুন অজু করতে হবে। 

৪০ দিন পর পনের দিন পবিত্র হিসেবে গণ্য হবে, তারপর হায়েয হিসেবে গণ্য হবে যদি রক্তস্রাব আসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...