ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাসআলাঃ
সন্তান প্রসব হওয়ার পর পেশাবের রাস্তা দিয়া যে রক্তস্রাব হয়, তাহাকে নেফাস বলে। নেফাসের মুদ্দত ঊর্ধ্ব সংখ্যায় চল্লিশ দিন। চল্লিশ দিন অপেক্ষা বেশী নেফাস হইতে পারে না। কমের কোন সীমা নাই। যদি কাহারও এক দুই ঘন্টা মাত্র রক্তস্রাব হইয়া রক্ত বন্ধ হইয়া যায়, তবে মাত্র ঐ এক দুই ঘণ্টাকেই নেফাস বলা হইবে।
মাসআলাঃ
যদি কোন মেয়েলোকের প্রসবান্তে চল্লিশ দিনের বেশী রক্তস্রাব হয় এবং তাহার ইহাই প্রথম প্রসব হয়, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত নেফাস ধরিতে হইবে। চল্লিশ দিন যখন পুরা হইবে, তখন গোছল করিয়া নামায পড়িতে হইবে। আর যদি ইতিপূর্বে আরও সন্তান প্রসব হইয়া থাকে এবং তাহার নেফাসের মুদ্দতের কোন নিয়ম থাকে, তবে নিয়মের কয়দিন নেফাস হইবে, বেশী কয়দিন ইস্তেহাযা হইবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7474
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিফাসের ৪১ তম দিনও রক্তস্রাব চললে, যদি এটা তার প্রথম সন্তান প্রস্রব হয়,তাহলে ৪১ তম দিন থেকে ঐ রক্তস্রাবকে ইস্তেহাযা গণনা করা হবে। আর যদি ইতিপূর্বে কোনো নিয়ম থাকে, তাহলে সেই কয়দিন নেফাস এবং অতিরিক্ত দিন সমূহ ইস্তেহাযা হইবে। ইস্তেহাযার বিধান হল, প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে ঐ অজু দ্বারা ঐ ওয়াক্তের ভিতর সকল প্রকার ইবাদত করা যাবে, ওয়াক্ত চলে গেলে নতুন অজু করতে হবে।
৪০ দিন পর পনের দিন পবিত্র হিসেবে গণ্য হবে, তারপর হায়েয হিসেবে গণ্য হবে যদি রক্তস্রাব আসে।