অন্যের বিয়ের কথা বললে বিয়ে হবে কি না

Question

আস্সালামুআালাইকুম হুজুর,
আমি একদিন আমার এক পরিচিত ছেলের সাথে বসে গল্প করছিলাম। তো সে তার এক বন্ধুর কথা বলছিলো যে তার বন্ধু একটি মেয়েকে বলেছিলো "তোমাকে বিয়ে করে ফেলবো" এ কথাটি আমার পরিচিত সেই ছেলেটি যখন বলছিলো তখন আমি হুম বলেছিলাম ও মাথা ও নেরেছিলাম হয়ত। আসেপাশে অনেক লোক ও ছিলো আমাদের কথা বার্তা শুনছিলো হয়ত।এখন আমার প্রশ্ন হলো যে ছেলেটি যে বললো " আমি তোমাকে বিয়ে করবো" ( যদিও সে আমার উদ্দেশ্যে বলেনি সে বলেছিলো তার বন্ধু এই কথা অন্য মেয়েকে বলেছে) এখন এই কথা শুনে আমি মাথা নারলে বা হুম বললে এবং অন্য অনেকে এই কথা শুনলে কি আমাদের মধ্যে বিয়ে হয়ে যাবে?( আমিও গল্প শুনতে শুনতে সাধারনত সবাই যেমন হুম বলে সেই হিসেবেই বলেছিলাম)

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/39270/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত,

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)

সুতরাং পাত্র বিবাহের প্রস্তাব পেশ করতে পারে,পাত্রীও প্রস্তাব পেশ করতে পারে।

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।

ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।   

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া।

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

ইজাব অর্থ বিয়ের প্রস্তাব। যদি ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে সাক্ষীর উপস্থিতিতে মেয়েকে বলে, "আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে আগ্রহী। তুমি কি রাজি? মেয়ে যদি বলে, " কবুল" এইটুকু হলেই বিয়ে হয়ে যাবে।

অথবা এর উল্টোঃ- যদি ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে সাক্ষীর উপস্থিতিতে মেয়ে ছেলেকে বলে, "আমি তোমাকে স্বামী  হিসেবে গ্রহণ করতে আগ্রহী। তুমি কি রাজি? ছেলে যদি বলে, " কবুল".এইটুকু হলেই বিয়ে হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/24719/

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনার বিয়ে হয়নি। এখানে ইজাব কবুল উদ্দেশ্য ছিল না। শুধুমাত্র একটি স্টোরি বলা উদ্দেশ্য ছিল। বিধায় উক্ত বিষয়ে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

Comments

জাযাকাল্লাহু খাইরান।