আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
السلام عليكم و رحمة اللہ

১)ব্যাংক বা এনজিও সদস্যদের সন্তানরা ভালো রেজাল্ট করলে ওদের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়।এগুলো নেওয়া কি ঠিক?

২)স্কুল -কলেজে যে উপবৃত্তি দেওয়া হয় সেটার বিধান কিরকম?

৩)ইউনিভার্সিটিতে ভালো রেজাল্টের উপর যে স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেটার বিধান কিরকম?

*যদি ১ নং উত্তরটা নাজায়েজ হয় তাহলে ---

৪)কেউ পূর্বে এই বৃত্তি নিয়েছে এবং সেখান থেকে কিছু খরচ হয়ছে কিছু খরচ হয়নি।এক্ষেত্রে এখন কি করবে?

৫)অনেক সময় কোনো একটা কোর্সে একজনের পেমেন্ট করে কয়েকজন ক্লাস করে।যেমন:একটা কোর্স ২০০০ টাকা হলে ৪ জনে  ৫০০ টাকা দেয়।যেকোনো একজন  একটা ফেসবুক আইডি দিয়ে কোর্সে জয়েন করে।সবাইকে ওই আইডির পাসওয়ার্ড দেয় এবং  সবাই লগইন করে ক্লাস দেখে।এটা কি ঠিক?যদি ওদের শর্ত থাকে একটা আইডি দিয়ে একজনই ক্লাস করবে।


*এটা যদি জায়েজ না হয় তাহলে--

৬)কেউ দ্বীনি বুঝ না আসার পূর্বে এরকম করে থাকলে তার এখন কি করা উচিত ?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/6191/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর গ্রহন উভই গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

,

বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে  কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি  দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রী  দের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।


সুতরাং ব্যাংক থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?

যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।


ব্যাংক থেকে সুদের টাকা থেকে  বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের জন্য জায়েজ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/1900/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. সুতরাং আসলেই যদি যিনি বৃত্তি গ্রহণ তিনি গরিব (যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত)  না হয়ে থাকেন,

তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে, নেসাব পরিমান সম্পদ যদি তার মালিকানায় থাকে, তাহলে উক্ত বৃত্তি নেওয়া তার জন্য জায়েজ নয়। তাকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে, বা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে।

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/6191/  


২-৩. উক্ত উপবৃত্তি বা স্কলারশিপ যদি সরকারের পক্ষ হতে দেওয়া হয় বা উক্ত স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। তাহলে সেটা নেওয়া জায়েজ আছে।

৪. ঐ ব্যক্তি ধনী হলে উক্ত টাকা এবং যত টাকা খরচ করেছে সব ফেরত দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবে। আর গরীব হলে আর দেওয়া লাগবে না।

৫. একজনের পেমেন্ট করে কয়েকজন ক্লাস করা জায়েজ নেই যদি কর্তৃপক্ষে পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা থাকে।


৬. উক্ত ঘটনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাবে এবং তাওবা করবে। আর ওই কোর্সের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে তাদেরকে বিষয়টা বলে সমাধান করে নিবে। প্রয়োজনে তারা টাকা চাইলে টাকা দিবে অথবা তাদের কাছে বিষয়টা অবগত করে ক্ষমা চেয়ে নিবে। আর এটা কোনভাবে সম্ভব না হলে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা না গেলে তাহলে আনুমানিক কত টাকার মতো ওই কোর্সে তারা ক্লাস করেছে ওই পরিমাণ টাকা গরিবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...