ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/6191/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ
রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর
গ্রহন উভই গুনাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم
قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার
সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস
নং-৪৯৮১)
,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার
জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে
ধনী, ছাত্র ছাত্রী দের জন্য
জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।
সুতরাং ব্যাংক থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে
দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত
ফরজ কিনা?
যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা
আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর
ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে
সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।
ব্যাংক থেকে সুদের টাকা থেকে বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের
জন্য জায়েজ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/1900/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. সুতরাং আসলেই যদি যিনি বৃত্তি
গ্রহণ তিনি গরিব (যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত)
না হয়ে থাকেন,
তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে, নেসাব
পরিমান সম্পদ যদি তার মালিকানায় থাকে, তাহলে উক্ত বৃত্তি নেওয়া তার জন্য জায়েজ
নয়। তাকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে, বা
ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/6191/
২-৩. উক্ত উপবৃত্তি বা স্কলারশিপ যদি
সরকারের পক্ষ হতে দেওয়া হয় বা উক্ত স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। তাহলে সেটা
নেওয়া জায়েজ আছে।
৪. ঐ ব্যক্তি ধনী হলে উক্ত টাকা এবং
যত টাকা খরচ করেছে সব ফেরত দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবে। আর গরীব
হলে আর দেওয়া লাগবে না।
৫. একজনের পেমেন্ট করে কয়েকজন ক্লাস
করা জায়েজ নেই যদি কর্তৃপক্ষে পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
৬. উক্ত ঘটনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা
চাবে এবং তাওবা করবে। আর ওই কোর্সের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হলে তাদেরকে
বিষয়টা বলে সমাধান করে নিবে। প্রয়োজনে তারা টাকা চাইলে টাকা দিবে অথবা তাদের কাছে
বিষয়টা অবগত করে ক্ষমা চেয়ে নিবে। আর এটা কোনভাবে সম্ভব না হলে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ
করা না গেলে তাহলে আনুমানিক কত টাকার মতো ওই কোর্সে তারা ক্লাস করেছে ওই পরিমাণ টাকা
গরিবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিবে।