আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
اســلم علــيكم ورحمة الله
১. আমি অনলাইনে ২ টা গ্রুপে তাজবীদ পড়াই সপ্তাহে তিনদিন করে আলহামদুলিল্লাহ। কয়েকদিন আগে গ্রুপ ১ এর পড়ার সময় গ্রুপ ২ এ পড়াই।তারপরের কোনো গ্রুপেই পড়াইনি।অসুস্থতাসহ কিছু বিষয়ে আমার অবস্থা এতো খারাপ ছিল যে কোনো হুশ ছিল না(৩-৪)দিনের মতো,নামাজ তিলাওয়াত বাদে তেমন কিছু করতে পারতাম না। কোনো নোটিশ ও দিতে পারিনি।আমি জানাইও নি যে আমি পড়াতে পারব না।
যদিও কেও কিছু বলেনি।ঐ ২ দিনই দায়িত্বের প্রতি এতো গাফেলতি ছিল।আমার খুব অনুশোচনা হয় এনিয়ে।আমি ইস্তেগফার করছি/করতেছি।কিন্তু আমি আমার শিক্ষার্থী বোনদের কাছে ক্ষমা চাইনি এখনও(যদিও আমি ক্ষমা চাইতে কখনও কার্পণ্য করি na এক মুহূর্তও)। আমি ক্ষমা চাইলে তারা ক্ষমা করে দিবে,বা কিছুই মনে করবে না।তাদের সাথে আমার সম্পর্কে অনেক ভালো আলহামদুলিল্লাহ।
আমি জানতে চাচ্ছি এক্ষেত্রে ক্ষমা চাইলে আপুরা ক্ষমা করে দিলেই কী আমার এ গাফেলতির জন্য আমি ক্ষমা পাব?

২. অনলাইনে ক্বুরআন ক্লাস চলাকালীন সময়ে, উস্তাযা অন্যদের পড়া নিচ্ছেন, আমার পড়া রেডি করাই থাকে,কিন্তু অনেক স্টুডেন্ট হওয়ায় পড়া নিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকা লাগে।এমন সময় যদি আমি মিউট করে আমার হিযব সে সময়ে কমপ্লিট করি।এক্ষেত্রে কী ক্লাসের হক নষ্ট হচ্ছে? (তখন হিযব কমপ্লিট না করলে আর সময় পাব না কমপ্লিট করার এমন আশংকা থেকে যায়)এমন ক্ষেত্রে করনীয় কী?

৩. হিফজ ভুলে গেলে অনেক গুনাহ হয়।আমি খেয়াল করলাম আমার হিফজকৃত বড়ো বড়ো সূরাগুলোর শেষের দিকে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমি আবার নতুন হিফজ শুরু করেছি।আমি কী এটা করতে পারব নাকি পূর্বের গুলো আবার পমপ্লিট করে নতুন করে শুরু করব,নাকি নতুনটার সাথেই পুরোনো হিফজগুলো প্রাক্টিসে রাখব?।কোনটি উত্তম

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হ্যাঁ তারা ক্ষমা করে দিলে এবং আপনি আল্লাহর কাছে তওবা করলে সেক্ষেত্রে আপনি ক্ষমা পাবেন।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে ক্লাসের হক নষ্ট হচ্ছেনা।

(০৩)
হাদিস শরিফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,

بِئْسَمَا لأَحَدِهِمْ يَقُولُ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ اسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَلَهُوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنَ النَّعَمِ بِعُقُلِهَا

যদি কেউ এভাবে বলে যে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি তাহলে তা তার জন্য খুবই খারাপ। বরং তাকে তো ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা কোরআনকে স্মরণ রাখ। কারণ কোরআন মানুষের হৃদয় থেকে পা বাঁধা পলায়নপর চতুস্পদ জন্তুর চেয়েও অধিক পলায়নপর। ছাড়া পেলেই পালিয়ে যায় অর্থাৎ স্মরণ রাখার চেষ্টা না করলেই ভুলে যায়। (মুসলিম ১৭২৬)

রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,
عُرِضَتْ عَلَىَّ ذُنُوبُ أُمَّتِي فَلَمْ أَرَ ذَنْبًا أَعْظَمَ مِنْ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَوْ آيَةٍ أُوتِيَهَا رَجُلٌ ثُمَّ نَسِيَهَا

আমার উম্মাতের গুনাহসমূহ আমাকে দেখানো হয়েছে। আমি তাতে কোরআনের কোন সূরাহ বা আয়াত শেখার পর তা ভুলে যাওয়ার চাইতে বড় গুনাহ আর দেখি নি। (আবু দাউদ ৪৬১ তিরমিযী ১৯৭৬ ইবনু খুযাইমাহ ১৯১৬)

مَا من امْرِئٍ يَقْرَأُ الْقُرْاٰنَ ثُمَّ يَنْسَاهُ إِلَّا لَقِىَ اللّٰهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَجْذَمَ

যে ব্যক্তি কোরআন শিখে ভুলে গিয়েছে, সে কিয়ামাতের দিন অঙ্গহানি অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (আবু দাউদ ১৪৭৪ মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ ১০/৪৭৮)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি কি উস্তাযাহ কে প্রতিদিন সাত সবক,আমুখতা শুনাননা?

যদি শুনিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে এমন সমস্যার সমাধানের জন্য উস্তাযাহ এর পরামর্শ নিয়ে চলবেন। 

পূর্বের হেফজকৃত সুরা বেশি সমস্যাকর হলে সেক্ষেত্রে এগুলো ঠিক করে তারপর নতুন সবক নিতে পারেন।

আর যদি সেগুলো তেমন সমস্যাকর না হয়,সেক্ষেত্রে নতুনটার সাথেই পুরোনো হিফজগুলো প্রাক্টিসে রাখতে পারেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই দৈনন্দিন উস্তাযাহ কে এক পাড়া বা হাফ পাড়া আমুখতা শুনাবেন।
এবং সাত সবক শুনাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...