اســلم علــيكم ورحمة الله
১. আমি অনলাইনে ২ টা গ্রুপে তাজবীদ পড়াই সপ্তাহে তিনদিন করে আলহামদুলিল্লাহ। কয়েকদিন আগে গ্রুপ ১ এর পড়ার সময় গ্রুপ ২ এ পড়াই।তারপরের কোনো গ্রুপেই পড়াইনি।অসুস্থতাসহ কিছু বিষয়ে আমার অবস্থা এতো খারাপ ছিল যে কোনো হুশ ছিল না(৩-৪)দিনের মতো,নামাজ তিলাওয়াত বাদে তেমন কিছু করতে পারতাম না। কোনো নোটিশ ও দিতে পারিনি।আমি জানাইও নি যে আমি পড়াতে পারব না।
যদিও কেও কিছু বলেনি।ঐ ২ দিনই দায়িত্বের প্রতি এতো গাফেলতি ছিল।আমার খুব অনুশোচনা হয় এনিয়ে।আমি ইস্তেগফার করছি/করতেছি।কিন্তু আমি আমার শিক্ষার্থী বোনদের কাছে ক্ষমা চাইনি এখনও(যদিও আমি ক্ষমা চাইতে কখনও কার্পণ্য করি na এক মুহূর্তও)। আমি ক্ষমা চাইলে তারা ক্ষমা করে দিবে,বা কিছুই মনে করবে না।তাদের সাথে আমার সম্পর্কে অনেক ভালো আলহামদুলিল্লাহ।
আমি জানতে চাচ্ছি এক্ষেত্রে ক্ষমা চাইলে আপুরা ক্ষমা করে দিলেই কী আমার এ গাফেলতির জন্য আমি ক্ষমা পাব?
২. অনলাইনে ক্বুরআন ক্লাস চলাকালীন সময়ে, উস্তাযা অন্যদের পড়া নিচ্ছেন, আমার পড়া রেডি করাই থাকে,কিন্তু অনেক স্টুডেন্ট হওয়ায় পড়া নিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকা লাগে।এমন সময় যদি আমি মিউট করে আমার হিযব সে সময়ে কমপ্লিট করি।এক্ষেত্রে কী ক্লাসের হক নষ্ট হচ্ছে? (তখন হিযব কমপ্লিট না করলে আর সময় পাব না কমপ্লিট করার এমন আশংকা থেকে যায়)এমন ক্ষেত্রে করনীয় কী?
৩. হিফজ ভুলে গেলে অনেক গুনাহ হয়।আমি খেয়াল করলাম আমার হিফজকৃত বড়ো বড়ো সূরাগুলোর শেষের দিকে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমি আবার নতুন হিফজ শুরু করেছি।আমি কী এটা করতে পারব নাকি পূর্বের গুলো আবার পমপ্লিট করে নতুন করে শুরু করব,নাকি নতুনটার সাথেই পুরোনো হিফজগুলো প্রাক্টিসে রাখব?।কোনটি উত্তম