জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘মুমিনের আত্মা ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হয় তার ঋণের কারণে, যতক্ষণ না তার পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১০৭৮)
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘সুবহানাল্লাহ! ঋণ প্রসঙ্গে কী কঠোর বাণীই না আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ, ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কেউ যদি আল্লাহর পথে শহীদ হয়, তারপর জীবিত হয়, তারপর শহীদ হয়, তারপর জীবিত হয়, তারপর আবার শহীদ হয়, তবু ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
’ (নাসাঈ, হাদিস : ৪৬৮৪)
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/95):
"مطلب يعذر بالعمل بمذهب الغير عند الضرورة
(قوله: وأطلق الشافعي أخذ خلاف الجنس) أي من النقود أو العروض؛ لأن النقود يجوز أخذها عندنا على ما قررناه آنفًا. قال القهستاني: وفيه إيماء إلى أن له أن يأخذ من خلاف جنسه عند المجانسة في المالية، وهذا أوسع فيجوز الأخذ به وإن لم يكن مذهبنا؛ فإن الإنسان يعذر في العمل به عند الضرورة كما في الزاهدي. اهـ. قلت: وهذا ما قالوا: إنه لا مستند له، لكن رأيت في شرح نظم الكنز للمقدسي من كتاب الحجر. قال: ونقل جد والدي لأمه الجمال الأشقر في شرحه للقدوري أن عدم جواز الأخذ من خلاف الجنس كان في زمانهم لمطاوعتهم في الحقوق. والفتوى اليوم على جواز الأخذ عند القدرة من أي مال كان لا سيما في ديارنا لمداومتهم للعقوق."
الموسوعة الفقهية الكويتية (4/153):
"وقال أبو حنيفة: له أن يأخذ بقدر حقه إن كان نقدًا أو من جنس حقه، وإن كان المال عرضًا لم يجز؛ لأن أخذ العوض عن حقه اعتياض، ولاتجوز المعاوضة إلا بالتراضي، لكن المفتى به عند الحنفية جواز الأخذ من خلاف الجنس."
সারমর্মঃ-
ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন তার হক সমপরিমাণ টাকা সে নিতে পারবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পাওনা টাকা চাওয়ার পর,ও বারবার চেষ্টার পরেও পাওনা টাকা না দিলে সেক্ষেত্রে উক্ত নৌকা বিক্রয় করে নিজের পাওনা টাকা নেয়া যাবে।
তবে এই বিষয়ের খেয়াল রাখতে হবে যে নিজের হক থেকে অতিরিক্ত যেনো উসুল না হয়।
উল্লেখ্য , নৌকা বিক্রয় করার আগ দিয়ে নৌকার মালিককে জানাতে হবে যে আপনি টাকা পরিশোধ না করলে আপনার নৌকা বিক্রয় করে আমি টাকা নিবো।
বিষয়টি জানানোর পরেও সে টাকা না দিলে এমতাবস্থায় সেই নৌকা বিক্রয় করা যাবে।
(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে এই টাকা গ্রহন করা আপনার বাবার জন্য হালাল হবেনা।
আপনি নিজ হতে কাফফারা আদায় করতে চাইলে আপনার বাবা যেই পরিমান টাকা গ্রহন করেছিলো সমপরিমাণ টাকা মূল মালিককে ফিরিয়ে দিবে।