জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(২.৩)
এ সংক্রান্ত সে হাদীসের কথা প্রচলিত আছে, হাদিসটি মাওযু (বানোয়াট)।
এ সংক্রান্ত হাদিসটি ইমাম হাকেম (রহঃ) আব্দুল্লাহ্ বিন মুসলিম আল-ফিহরি এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আমাদের নিকট ইসমাইল বিন মাসলামা হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমাদেরকে আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম সংবাদ দিয়েছেন তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে, তিনি উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন আদম গুনাহতে লিপ্ত হল... প্রশ্নকারী যে ভাষায় উল্লেখ করেছেন ঠিক সে ভাষায় সেখানে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে।
হাকেম বলেন: এটি সহিহ সনদবিশিষ্ট হাদিস।
হাকেম এভাবেই বলেছেন! কিন্তু অনেক আলেম, হাকেমের কথার সমালোচনা করেছেন এবং হাকেম কর্তৃক এ হাদিসকে সহিহ বলার প্রতিবাদ করেছেন। তারা হাদিসটিকে বাতিল ও বানোয়াট হুকুম দেন। তারা আরও তুলে ধরেন যে, হাকেম নিজেই এ হাদিসে স্ববিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছেন।
আলেমগণের সেসব উক্তির কিয়দাংশ নিম্নরূপ:
হাকেমের পূর্বোক্ত উক্তির সমালোচনা করে যাহাবী বলেন: বরঞ্চ হাদিসটি মাওযু (বানোয়াট)। আব্দুর রহমান একজন অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। আর আব্দুল্লাহ্ বিন মুসলিম আল-ফিহরি কে আমি চিনি না।
যাহাবী তার ‘মিযানুল ইতিদাল’ গ্রন্থে বলেন: “এটি বাতিল খবর (হাদিস)”।
ইবনে হাজার তাঁর ‘লিসানুন মিযান’ গ্রন্থে এ অভিমতের প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন।
বাইহাকী বলেন: এই সূত্রটি আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এ আব্দুর রহমান দুর্বল রাবী।[সমাপ্ত] ইবনে কাছির তাঁর ‘আল-বিদায়া ওয়াল নিহায়া’ গ্রন্থে (২/৩২৩) এ অভিমতের প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন।
আলবানী তাঁর আল-সিলসিলা আয-যায়িফা গ্রন্থে (২৫) বলেন: মাওযু (বানোয়াট)
(সংগৃহীত)
★প্রচলিত আছে যে, আদম আঃ ও হাওয়ার মধ্যে বিবাহের মোহরান ছিল দরুদ শরীফ পাঠ। এ সকল কথার কোনো ভিত্তি বা সনদ আছে বলে জানা যায় না।
আদম আঃ ও হাওয়ার মোহরানা কত ছিল এ মর্মে ছহীহ কোন দলীল পাওয়া যায় না। অনেকের মুখে যে সমস্ত কাহিনী শুনা যায়, সেগুলো সব সনদ বিহীন বানোয়াট কথা।
যেমন- ‘আল-মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়াহ’ কিতাবে এসেছে যে,
أن الله سبحانه لما خَلق آدمَ خلق له حواءَ من ضِلَع من أضلاعه اليسرى وهو نائم فلما استيقظ ورآها سكَن إليها ومدّ يده إليها فمنعته الملائكةُ حتى يؤدِّي مهرَها فقال وما مهرُها؟ قالوا تصلِّي على محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثلاثَ مرات
‘মহা পবিত্র আল্লাহ তা‘আলা আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর যখন তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন তখন তার বাম পাঁজরের একটি হাড় থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন। তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে হাওয়াকে দেখে তিনি মনে প্রশান্তি অনুভব করলেন। তাই তাঁকে স্পর্শ করার জন্য হাত বাড়ালে ফেরেশতাগণ তাকে মোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্পর্শ করতে নিষেধ করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর মোহর কী? ফেরেশতাগণ বললেন, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ৩ বার দরূদ পাঠ করুন’।
ইবনুল জাওযী (মৃ. ৭৯৫ হি.) তার ‘সালওয়াতুল আহযান’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
أنها لما سمعتْ كلام الملائكة طلبت مَهرها من آدم فسأل ربَّه كم يُعطيها؟ فقال صل على حبيبي محمد بن عبد الله عشرين مرة ففعل. وجاء في بعض الروايات- أن اللهَ زوّجه إيّاها وخطب في ذلك خطبة
‘হাওয়া (আলাইহিস সালাম) ফেরেশতাদের কথোপকথন শোনার পর আদম (আলাইহিস সালাম) থেকে তার মোহর চাইলেন। তখন তিনি আল্লাহ তা‘আলাকে জিজ্ঞেস করলেন, কত মোহর দিবেন? আল্লাহ তা‘আলা বললেন, ‘তুমি আমার হাবিব মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ২০ বার দরূদ পাঠ কর’। তিনি তাই করলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, স্বয়ং আল্লাহই আদম-হাওয়া (আলাইহিমাস সালাম)-এর বিয়ে পড়িয়েছেন এবং বিয়েতে খুত্ববা পাঠ করেছেন (আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আল-কাসত্বালানী (৮৫১-৯২৩ হিঃ), আল-মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৭৬)।
কিন্তু উক্ত কাহিনীর কোন সনদ নেই।
(০৪)
হ্যাঁ, নিজে আমল করে জীবিত কিংবা মৃত কাউকে সওয়াব দিয়ে দেয়া যায়।
(০৫)
নবীজি স. উম্মতের জন্য দোয়া করেছেন,উম্মতের জন্য কুরবানী আদায় করে ঈসালে ছওয়াব করেছেন,তাই কোনো উম্মত যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্য ঈসালে ছওয়াব করে,এতে কোনো সমস্যা নেই।
বরং কাজটি উত্তম।