আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুমকুম,
ব্যবসার ধরনঃ পোশাক, পারপিউম ইত্যাদি সেল করা হয় দোকানে। সুপরিচিত দোকান। ব্রান্ড ভ্যালু রয়েছে।
অংশীদারী ব্যবসায় আমার শেয়ার কি বাকী অংশীদার বা অংশীদার ব্যতিত বাহিরের লোকের কাছে মূলধনের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো?
বিস্তারিতঃ
যেমন আমার মূলধন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া বাহিরের লোকজন ইনভেস্ট করে প্রফিট এবং লস নেয়। এক্ষেত্রে ইনভেস্ট এর নির্দিষ্ট মেয়াদ পর ফেরত দিতে হবে বা পুনরায় চুক্তি করে ইনভেস্ট করবে। এরকম বাহিরের লোকের ইনভেস্ট আছে ৩০ লাখ৷ তাহলে দোকানে মোট টাকা আমাদের চার জনের ৪০ লাখসহ মোট ৭০ লাখ। অর্থাৎ ১০+১০+১০+১০+৩০ = ৭০ লাখ৷ এখন আমি আমার শেয়ার কি ১৫ লাখ টাকা সেল করতে পারবো? যেখানে আমার মূলধন ১০ লাখ। বাড়তি ৫ লাখ দোকানের ব্রান্ড ভ্যালুর উপরে ধরেছি৷ যেহেতু এটি একটি রানিং বিজনেস। দোকানের লাভ ও লসের অবস্থা জেনে ক্রেতাকে জানানো হবে। ক্রেতা শেয়ার কিনলে ১০ লাখ মূলধন হিসেবেই লাভ-ক্ষতি বহন করবেন। যদিও তিনি আমাকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনবেন। অংশীদার রা এই মূল্যে (১৫ লাখ) শেয়ার কিনতে রাজি নয় আবার বাহিরের লোকের কাছে বিক্রি করতেও দিতে চাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা যে,
অংশীদারী ব্যবসায় আমার শেয়ার কি বাকী অংশীদার বা অংশীদার ব্যতিত বাহিরের লোকের কাছে মূলধনের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো না।
শেয়ার বিক্রি করতে পারবো না মর্মে কোন কথা বা চুক্তি অংশীদারদের সাথে হয়নি ব্যবসার শুরুতে। এখানে স্পেসিফিক কোন অংশীদারি সিস্টেমও ফলো করা হয়নি শুধুমাত্র চারজন ব্যবসার মালিক এটি উল্লেখিত আছে। ইসলামি নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আশা করি অংশীদাররা শেয়ার বিক্রি করতে দিবে বা নিজেরা ক্রয় করবে ইং শা আল্লাহ। তারাও জানে না যে এটি জায়েজ নাকি নাজায়েজ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ- হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অংশীদারী ব্যবসায় আপনি আপনার শেয়ার কে ১৫ লাখে বিক্রয় করতে পারবেন।  বাকী অংশীদার বা অংশীদার ব্যতিত বাহিরের লোকের কাছে মূলধনের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।তবে বাকী অংশীদার তারা নিজেরা ক্রয় করতে চাইলে উক্ত মূল্যে তারা সুফার দাবীদার হিসেবে সবচেয়ে অন্যর চেয়ে বেশী হকদার হবে। অন্যজন যত টাকায় ক্রয় করবে, তারাও তত টাকায় ক্রয় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...