আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।আমি কিছুদিন পর এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাচ্ছি।কিন্তু তার এর আগে বিয়ে হয়েছিল।আইনগতভাবে তালাকও হয়েছিল।কিন্তু আমরা একটু দ্বিধাদন্দে আছি তার পুর্বের তালাক ইসলামিক বিধান অনুযায়ী হয়েছে কিনা।আমি এখন বিস্তারিত বলতেছি।

মেয়েটার ১ম স্বামী নেশা করত আর জুয়াও খেলত।তো এই জিনিসটা মেয়ের পছন্দ ছিল না।ওদের বিয়ের সময় মেয়েকে খালি জিজ্ঞাস করেছিল যে তুমি বিয়েতে রাজি নাকি।মেয়ে বলেছিল হ্যা,কবুল বলেনি।এরপর কিছুদিন স্বামীর কাছে থেকে স্বামীর এসব অপকর্ম দেখে তার বাবার বাড়ি চলে আসে।মেয়েটা স্বামীকে তালাক দিতে চাচ্ছিল প্রথমে,কিন্তু স্বামী চাইনি প্রথমে।তাও মেয়েটা স্বামীর কাছে ফিরে যাইনি।এরপর একদিন ফোনে ওদের অনেক জগড়া হয়,স্বামী মেয়েকে অনেক আজে বাজে কথা বলে।পরে মেয়ে বলেছিল আমাকে তালাক দিয়ে দে যেহেতু আমি এমন।পরে স্বামী বলেছিল যে,যা যা তোর মতো মেয়েরে আমি তালাক দিলাম। ১ তালাক,২ তালাক, ৩ তালাক।এরপর কল কেটে দিয়েছিল।এরপর ওর স্বামী আবার চেষ্টা করেছিল যাতে মেয়েটা সংসার করে।কিন্তু কলে তালাকের কথা বলার পর তাদের আইনীভাবেও তালাক হয়ে যায়।এরপর ২ বছর ধরে তার কাছে যায় নি।তাদের মধ্যে সংসারও আর ঠিক হয়নি।ছেলে তাকে তার মহরানাও পরিশোধ করেনি।পরবর্তিতে তালাকের পর মেয়ে মহরানা মাফ করে দেয়।
১। ওদের তালাক কি হয়েছে?
২। এখন আমি কি মেয়েকে বিয়ে করতে পারব?আমার কি সামনে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী?
৩। যদি তালাক না হয়ে থাকে তাহলে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী কি করলে তালাক হবে?
৪। মেয়ের পক্ষ থেকে কি তালাক দেওয়ার কোন উপায় আছে?
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
 فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

 وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
 হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া(রুজু করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে রুজু [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় রুজু করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩} বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/86871

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)তাদের মধ্যকার তিন তালাক কার্যকর হয়েছে।
(২) ইদ্দত শেষ হওয়ার পর আপনি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন। আপনাদের মধ্যকার বিয়ে বিশুদ্ধ হতে কোনো বাধা নেই। 
(৩) তালাক কার্যকর হয়েছে।
(৪) মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক দেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...