আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
560 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম

১-কারো নাম যদি আব্বুন রহিম থাকে।।এখন অনেক সময়ই আমরা ভুলে বা না জেনে বা অভ্যাসগতভাবে শুধু রহিম বলে থাকি।।।এক্ষেত্রে কি শির্ক হবে। হলে কি শির্কে আসগার না আকবার হয়

২-আমাদের এইদিকে যখন কোনো বাড়িতে ১০-১১ টা রুম থাকে তাতে ২-৩ টা দোকান থাকলেও দোকানেও আবাসিক মিটারই ব্যবহার করা হয়।।বেশি দোকান বা যদি কোন কারখানা থাকে সেক্ষেত্রর মিটার নামানোর সময় বানিজ্যিক নামাইতে বাধ্য করে৷ কিন্তু সাধারণভাবে অনেক রুমের সাথে অল্প দোকান থাকলে আবাসিক মিটারই দেয় এবং বিল লিখতে আসলেও কোন সমস্যা করে না।।এক্ষেত্রর দোকানে আবাসিক মিটার ব্যবহার করা কি জায়েজ?

৩- উপরেএ উত্তর যাই হোক না কেন।।যদি জায়েজ নাও হয় তাহলে শুধু বিদ্যুতের কারনে ওই দোকান যে মালিক ভাড়া দেয় তার ভাড়া  আর দোকান যে করে সেখানে সাধারণ দোকান মুদী বা ভ্যারাইটি দোকান করে যে উপার্জন করে সেটা কি হারাম হবে?

৪-ছোট দোকান যে গুলো গলিতে করা হয় তার জন্য আশে পাশের কেউ ট্রেড লাইসেন্স করে না।।।আর কেউ করার জন্য নির্দেশও দেয় না।।সেক্ষেত্রে এর জন্য কি গুনাহ হবে বা উপার্জন কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ক. আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি।
অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ

اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،
المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،
الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক, গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।

খ. ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।
★যদি কুরআন-হাদীস ও উম্মাহর তা'আ'মূল(ব্যবহার) এবং উরফে আম(সমাজ ব্যবস্থায়) এ- ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা প্রমাণিত থাকে, তাহলে সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা যাবে।এতে  কোনো প্রকার সমস্যা নেই।
যেমনঃ
عزيز، علي، كريم، رحيم، عظيم، رشيد، كبير، بديع، كفيل، هادي، واسع، حكيم ،
যেমনঃ আযীয, আলী, কারিম, রাহিম, আজীম, রাশিদ, কাবির, বাদি', কাফিল, হাদী, ওয়াসি', হাকীম, ইত্যাদি।
এবং যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়,বা মুসলমানদের রীতিনীতিতে প্রচলিত নয়,সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা অনুচিত।অত্যাবশ্যকীয় পরিত্যাজ্য। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/463

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রহিম নাম রাখা যাবে।এবং এ নামে কাউকে ডাকাও যাবে।এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

(২)
যদি বিদ্যুৎ কর্মকর্কা এগুলোর সম্পর্কে অবগত থাকে।তারপরও এ সম্পর্কে কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে ১০/১২ আবাসিক রুম সম্বলিত কোনো মিটারের ১/২দোকার ভাড়া আবাসিক হিসেবে দিলে সমস্যা হবে না।এক্ষেত্রে এই দুয়েকটা বাণিজ্যিক দোকানের পৃথক ভাড়া আসবে না।তবে যদি কম্পানির রুল থাকে যে,একই মিটারে কিছু আবাসিক এবং কিছু বাণিজ্যিক আসতে পারে,তাহলে তখন এই একই মিটারে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিল আসবে।ইউনিট হিসাব করে অনুমান বিত্তিক দোনাকদার বানিজ্যিক বিল দিবেন আর আবাসিক বসবাসকারীরা আবাসিক বিল দিবেন।

ঠিকতেমনি অনেক দোকানের বিল যে মিটার থেকে 
পরিচালিত হচ্ছে,সেখানে আবাসিক কেউ থাকলে,সমঝোতার বিত্তিতে উনাকেও বাণিজ্যিক বিল দিতে হবে।অথবা ইউনিট হিসেব করে আবাসিক বসবাসকারী উনি উনার ইউনিট বিল দিবেন।

(৩)
যদি কেউ বাড়া কমানোর জন্য এভাবে আবাসিক মিটার থেকে দোকান ঘরে লাইন দেয়,তাহলে তার এ কাজ জায়েয হবে না।তবে এই ঘর ভাড়া নিয়ে যিনি দোকান দিবেন, তার ইনকাম হারাম হবে না।

(৪)
ট্রেড লাইসেন্স করা সরকারি নিয়ম।সুতরাং এটা করা জনগণের উপর ওয়াজিব। যদি কেউ ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসাকে পরিচালনা করে,তাহলে যদিও ইনকাম হারাম হবে না তবে,সেটা ওয়াজিবের খেলাফ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ।।। 

হুজুর কমেন্টে একটু রিপ্লাই দিয়েন দয়া করে।আমি বিষয়টা বুঝিতে পারছি।।কিন্তু আমি ওয়াসওয়াসার রোগী বুঝতে পারলেও মাথায় চিন্তা আসতেই থাকে। 
এই হিসেবে একটু বেশি সতর্কতামূলক জানতে চাচ্ছি ২ নং প্রশ্নের ব্যপারে।। যদি দোকানে আবাসিক মিটার নাজায়েজও হয় এবং দোকানের মালিক আমরাই সেক্ষেত্রে ওই দোকানে মুদী মালের ব্যবসাবাবদ আয়কৃত টাকা কি হারাম হবে?
মূলত ইনকাম তো হবে হালাল পন্যের মাধ্যমে
by (589,680 points)
দোকানের মালিক কে?আপনি নাকি আপনি দোকানকে ভাড়ায় নিতে চাচ্ছেন?
by
edited
দোকানের মালিক আমরাই।।আমার বাবার দোকান।।সেই দোকানেই আমি ব্যবসা করতে চাচ্ছি.মুদি+ভ্যারাইটিজ দোকান।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...