বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ক. আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি।
অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ
اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،
المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،
الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক, গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।
খ. ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।
★যদি কুরআন-হাদীস ও উম্মাহর তা'আ'মূল(ব্যবহার) এবং উরফে আম(সমাজ ব্যবস্থায়) এ- ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা প্রমাণিত থাকে, তাহলে সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা যাবে।এতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই।
যেমনঃ
عزيز، علي، كريم، رحيم، عظيم، رشيد، كبير، بديع، كفيل، هادي، واسع، حكيم ،
যেমনঃ আযীয, আলী, কারিম, রাহিম, আজীম, রাশিদ, কাবির, বাদি', কাফিল, হাদী, ওয়াসি', হাকীম, ইত্যাদি।
এবং যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়,বা মুসলমানদের রীতিনীতিতে প্রচলিত নয়,সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা অনুচিত।অত্যাবশ্যকীয় পরিত্যাজ্য। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/463
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রহিম নাম রাখা যাবে।এবং এ নামে কাউকে ডাকাও যাবে।এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
(২)
যদি বিদ্যুৎ কর্মকর্কা এগুলোর সম্পর্কে অবগত থাকে।তারপরও এ সম্পর্কে কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে ১০/১২ আবাসিক রুম সম্বলিত কোনো মিটারের ১/২দোকার ভাড়া আবাসিক হিসেবে দিলে সমস্যা হবে না।এক্ষেত্রে এই দুয়েকটা বাণিজ্যিক দোকানের পৃথক ভাড়া আসবে না।তবে যদি কম্পানির রুল থাকে যে,একই মিটারে কিছু আবাসিক এবং কিছু বাণিজ্যিক আসতে পারে,তাহলে তখন এই একই মিটারে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিল আসবে।ইউনিট হিসাব করে অনুমান বিত্তিক দোনাকদার বানিজ্যিক বিল দিবেন আর আবাসিক বসবাসকারীরা আবাসিক বিল দিবেন।
ঠিকতেমনি অনেক দোকানের বিল যে মিটার থেকে
পরিচালিত হচ্ছে,সেখানে আবাসিক কেউ থাকলে,সমঝোতার বিত্তিতে উনাকেও বাণিজ্যিক বিল দিতে হবে।অথবা ইউনিট হিসেব করে আবাসিক বসবাসকারী উনি উনার ইউনিট বিল দিবেন।
(৩)
যদি কেউ বাড়া কমানোর জন্য এভাবে আবাসিক মিটার থেকে দোকান ঘরে লাইন দেয়,তাহলে তার এ কাজ জায়েয হবে না।তবে এই ঘর ভাড়া নিয়ে যিনি দোকান দিবেন, তার ইনকাম হারাম হবে না।
(৪)
ট্রেড লাইসেন্স করা সরকারি নিয়ম।সুতরাং এটা করা জনগণের উপর ওয়াজিব। যদি কেউ ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসাকে পরিচালনা করে,তাহলে যদিও ইনকাম হারাম হবে না তবে,সেটা ওয়াজিবের খেলাফ হবে।