ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/3275/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেজন্য কারো
পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না। এমনটা করা হারাম। জন্মদিন পালন করাও বিজাতীয় সংস্কৃতি
যা হারামের আওতাধীন। সুতরাং এ সম্পর্কে মাতপিতার বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করা
যাবে না। বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধি-বিধান কেই সযত্নে মানতে হবে। এ জন্য যদি
মাতপিতার অন্তরে কষ্ট হয়, তা হোক। এটা নিশ্চিত যে, এ ব্যাপারে তাদের কোনো
বদ-দু'আর সন্তানের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত। কাউকে সালাম দিতে
হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে
হবে। কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি। পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে
সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি
সুন্নাত বহির্ভূত কাজ এবং বেদআত। যা অবশ্যই বর্জনীয়। মা-বাবা বা কোন নেককার
বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন। তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।কিন্তু পায়ে ধরে শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান
প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেজন্য কারো
পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না। এমনটা করা হারাম। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তাদের
যুক্তি সঠিক নয়।