আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
আমি কাযা রোযা রাখা অবস্থায় ফজরের সময় অযু করার সময় অন্যমনস্ক হয়ে একবার গড়গড়া করে ফেলি।গড়গড়া করার সাথে সাথে আমার রোজার কথা মনে পড়ে এবং আমি দ্রুত মুখ থেকে পানি ফেলে দেই।আমার গলা বা পেটে কোনো পানি গিয়েছে কিনা এ নিয়ে আমি সন্দেহে আছি।এমতাবস্থায় আমার রোযা কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (548,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের সময় গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.

 ‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫

সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১

আরো জানুনঃ 

الفتاوى الهندية (1/ 202)
'' وإن تمضمض أو استنشق فدخل الماء جوفه إن كان ذاكراً لصومه فسد صومه، وعليه القضاء، وإن لم يكن ذاكراً لا يفسد صومه، كذا في الخلاصة، وعليه الاعتماد''

যদি কেহ রোযা স্মরণ থাকা অবস্থায় মুখ ধুয়ে পানি নেয় অথবা নাকে পানি দেয় এবং তার পেটে পানি প্রবেশ করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে,এবং কাজা আবশ্যক হবে।
আর যদি রোযা স্মরণ না থাকা অবস্থায় এভাবে মুখে নাকে পানি নেয়,সেক্ষেত্রে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন যে গলার ভিতর পানি গিয়েছে কিনা?
তাই সতর্কতামূলক পুনরায় রোযাটির কাজা আদায় করে নিবেন।

উল্লেখ্য, আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে গলার ভিতর পানি যায়নি,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...