আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
উস্তাদ আমি পারিবারিক দিক থেকে হানাফি মাজহাব এর অনুসারী। মোটামুটি ওইভাবেই আমল করি। কিন্তু কিছুদিন আগে হাসব্যান্ড এর সাথে তালাক সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা হলে আমি ইউটিউবে সার্চ করে দেখি তালাক নিয়ে আহলে হাদিস দের ফতোয়া। আর সেটা দেখে আমি স্বস্তি পাই, তখন থেকেই আহলে হাদিস দের ভালো লাগতে শুরু হয়, তাদের বয়ান শুনি তাদের প্রতি একটা ভক্তি বিশ্বাস কাজ করতে শুরু করে, আবার যখন হানাফি মাজহাব এর ফতোয়া দেখি তালাক নিয়ে তখন দলিলের দিক থেকে হানাফি মাজহাব কে শক্তিশালী মনে হতো, কিন্তু ভাবতাম আহলে হাদিস ও তো কুরআন হাদিসের আলোকেই ফতোয়া দেয়,, তারপর থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া অধিক সহীহ, আর যুক্তিাম্মত মনে হতে থাকে, যেমন হুরমত মুসাহারা, তারাবি ৮ রাকাআত, মেয়েদের নামাজ ছেলেদের মতো, মাঝে মাঝে ভাবতাম এটা অধিক সতর্কতার, তাই কয়েকবার চেষ্টা করেছি ছেলেদের মতো নামাজ পড়ার, কিন্তু পারিনি, বা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় এমন, পরে ভাবলাম আমি তো এমন অনেক আলেম ফলো করি যারা বলে মেয়েদের নামাজে পার্থক্য করে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না এমন টা না। এটা মাজহাব এর ফতোয়া। সুতরাং আবারো আগের মতোই নামাজ পড়তে থাকি। এই ছাড়া ও কয়েকবার মনে মনে ভেবেছি আহলে হাদিস দের কথা শুনবো বা তাদের ফতোয়া গুলো মানবো যেহেতু অধিক শক্তিশালী দলিল আর সতর্কতার মনে হয়েছে। তাদের কথা অনুযায়ী আমি কোরআন সুন্নাহর অনুসরন করবো, বা আমি একবার আমার ভাই এর কাছে এটাই বলছি বলে মনেহয় যে আমি একক কেনো মাজহাবে অন্ধ বিশ্বাস করিনা কোরআন এবং সুন্নাহ অনুসরন করি, কিন্তু আমি যে পুরোপুরি আহলে হাদিস হয়ে গেছি বেপার টা কিন্তু এমন না। কিন্তু আমি সর্বদা নিজেকে হানাফি বলেই পরিচয় দেই সবার কাছে এবং নামাজ রোজা ওভাবেই করি। আর আহমাদুল্লাহ হুজুরকে সর্বদা ফলো করি সব বেপারে।
এর মধ্যে আমার হাসবেন্ড এর সাথে ২ তালাক হয় পুরোপুরি নিশ্চিত হই, এবং তারপর ৩ তালাক ও হয় বুঝতে পারি। আর এগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়, তো শরয়ী হালালা করার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করতে হবে যেটা আমি জানি, আর তখন ২ জন স্বাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল দ্বারা বিয়ে হবে যেটা হানাফি মাজহাব মতে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে, তো আমিও এটা বিশ্বাস করি আর এভাবে বিয়ে করি, যদিও পূর্বে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে হবেনা এটাকে সবচেয়ে শক্তিশালী মত মনে করতাম, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর হুজুর, আরো অনেকের ভিডিও দেখে তাই ভাবতাম, কিন্তু আমি অবিভাবকের অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করি হানাফি মাজহাব মতে, আর বিয়ের আগের দিন ও হাসবেন্ড এর কাছে এক প্রসঙ্গে বলি যে আমি হানাফি। এবং এই মতে যে বিয়ে সহীহ হয়ে যাবে সেটা ও পরিপূর্ণ বিশ্বাস করি। এবং আহমাদুল্লাহ হুজুরের বয়ানেও দেখি যে তিনি বলেছেন এভাবে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়। আর সেটাই বিশ্বাস করি। এখন আমার প্রশ্ন হলো,,
১.আমি কি আসলে হানাফি মাজহাব এর?? আমার বিয়েটা কি সহীহ হয়েছিল অভিভাবক ছাড়া? স্বামী সম্পূর্ণ হানাফি। আহমাদুল্লাহ এর বয়ানে শুনেছি বাংলাদেশে বেশিরভাগ যেই মাজহাব চলে, সেই মাযহাব ফলো করে এমন কেউ যদি ওই অনুযায়ী বিয়ে করে ফেলে তাহলে নাকি সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
২. আমি এগুলো ঘাটাঘাটি করার পর জানতে পারি যে একটা মাজহাব মানলে পরিপূর্ণ মানতে হয়। এখন আমি যদি এখন থেকে অন্য কোনো দিকে না ঝুঁকে সম্পূর্ণরুপে হানাফি মাজহাবই ফলো করি তাহলে কি এই বিয়ে টা সহীহ হবে আমার জন্য? আমি কি হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ফতোয়া গ্রহণ করে তার উপর আমল করতে পারবো??