আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমি ভারত থেকে বলছি আমি অনলাইন ব্যবসা করি এবং আমি একজন মোবাইল ফোনের মিস্ত্রি।বছর 3 আগে আমার কাছে অমুসলিম একজন ছেলে ট্রেন এর টিকিট কেটেছিল যার দাম ছিল ভারতীয় টাকায় 1600 টাকা আমি আমার কাছ থেকে টাকা দিয়ে কেটে দিয়েছিলাম ওই ছেলেটি বলেছিল পরে দিয়ে দিবো কিন্তু সে দিচ্ছে এখনো দিচ্ছে না সত্যি কথা বলতে ওর টাকাটা দেবার মনোভাব নেই। এখন হয়েছে কী ওই ছেলেটির কোনো এক বন্ধু ওকে একটি মোবাইল ফোন দিয়েছে আর ফোনটি হচ্ছে হয় চুরি করা আর নয়তো কুড়িয়ে পাওয়া তবে ওই ছেলেটি বললো ওর বন্ধু কুড়িয়ে পেয়েছে আর ওকে দিয়ে বলেছে তুই লক ভেঙে ফোনটা ব্যবহার কর। আর যেহেতু আমি মিস্ত্রি সেহেতু ওই ছেলেটি আমাকে ফোনটা লক ভাঙার জন্য দিয়েছে এন্ড্রয়েড ফোন লক করা আছে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ১) যেহেতু আমি ওই ছেলেটার কাছে টাকা পাই আর ও দিচ্ছে না  সেহেতু  আমি যদি ওই ফোনটা লক ভেঙে ওকে ফোনটা না দিয়ে ফোনটা বিক্রি করে যা দাম হবে সেই টাকা থেকে আমি যে টাকাটা পায় সেই টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা ওকে দিয়ে দোবো এমন কাজ করা আমার জন্য জায়েজ হবে??২) আমি জানি যে আমি যে ছেলেটার কাছে টাকা পাই ওই ছেলেটার ফোন ওটা না  হয় ও চুরি করেছে নয়তো কুড়িয়ে পেয়েছে এটা জানার পরও ওই ফোন বিক্রি করে আমার প্রাপ্য টাকা কেটে নিলে সেই টাকা আমার জন্য জায়েজ হবে?? ৩) তবে ওই ছেলেটি আমাকে বলছে যে ওই ফোনটা ওর একটা বন্ধু কুড়িয়ে পেয়েছে দিয়ে সিম কার্ড টা ফেলে দিয়েছে দিয়ে ওকে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছে। আমি জেনে গেছি যে মোট কথা ওই ফোনটা হয় চুরি করা নয়তো কুড়িয়ে পাওয়া। এটা জেনে যাবার পর ওই ফোনটা বিক্রি করে আমার প্রাপ্য টাকা কেটে নিলে সেই টাকা আমার জন্য হালাল হবে কী??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/45951/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
জেনে শুনে চুরিকৃত সম্পদ ক্রয় করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ (سورة المائدة-2

অনুবাদ-তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।( সুরা মায়িদা-২)

রাসুল স. ইরশাদ করেছেন,

وفى سنن البيهقى الكبرى- عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال : من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها ( سنن البيهقى الكبرى-كتاب البيوع، باب كراهية مبايعة من أكثر ماله من الربا أو ثمن المحرم، رقم-৫/৩৩৫

অনুবাদ-আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন চুরির বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গোনাহে শরীক হবে।(সুনানে বায়হাকী-৫/৩৩৫)

★উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে এটা জানা গেল চুরি হওয়া মালামাল জেনে শুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে করে চোরকে উৎসাহ প্রদান সহযোগিতা করা হয়।

যে ব্যক্তি জেনে-শুনে তা ক্রয় করল সেও কবীরা গুনাহে শরিক হলো। উপরন্তু এ ক্রয়-বিক্রয় যেহেতু ভুয়া তাই না ক্রেতা এ পণ্যের মালিক হবে না বিক্রেতা মূল্যের মালিক হবে। এদের উভয়ের উপর ফরয,পণ্য মূল মালিককে ফেরৎ দেওয়া।
(আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/১১০)

নিজের অজান্তে অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি চুরির মাল ক্রয় করে ফেলা হয়,তাহলে এতে গুনাহ হবেনা।
তবে যখনই বিষয়টি সম্পর্কে সে অবগত হবে যে এটি চুরিকৃত,তখনই এটি তার মূল মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।

যদি মালিককে ফেরত দেয়া না যায়,মালিককে খুজে পাওয়া না যায়,তাহলে চোরের কাছে ফেরত দিয়ে মূল্য ফেরত নিবে।    

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।

(০২)
জায়েজ হবেনা। 
কেননা ঐ ফোনের মালিক সেই ব্যাক্তি নয়।

(০৩)
হালাল হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ হুজুর ,, আমি অনেক বড়ো পাপ থেকে রক্ষা পেলাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...