আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
উস্তাদ আমার খালামণির দেওয়া একটা কাপড় আমার খুবই পছন্দ। কারন আমার খালামণি মারা গিয়েছেন, সেই কাপড় টা আমি স্মৃতি হিসেবে রেখেছি। এখন এটা যদি আমি বন্যার্ত দের জন্য দেই তাহলে কি আমি প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় দেওয়ার  সওয়াব পাবো?  যেমন টা আল্লাহ সূরা আল ইমরানে বলেছেন -তোমরা কখনোই কল্যাণ অর্জন করতে পারবেনা যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় দান করছো।
যেহেতু সেখানে অনেক অবস্থাপন্ন ঘরের মানুষ ও থাকতে পারে,গরীবদুখী ছাড়াও।

1 Answer

0 votes
by (54,990 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

وَ یُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ یَتِیۡمًا وَّ اَسِیۡرًا ﴿۸

আর তারা মহব্বত থাকা সাপেক্ষে অভাবগ্ৰস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাবার দান করে।

(সুরা দাহর ০৮)

অর্থাৎ জান্নাতীদের এসব নেয়ামত এ কারণেও যে, তারা দুনিয়াতে অভাবগ্ৰস্ত, এতীম ও বন্দীদেরকে আহার্য দান করত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ أَبِيْ مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُكُّوْا الْعَانِيَ يَعْنِي الأَسِيْرَ وَأَطْعِمُوْا الْجَائِعَ وَعُوْدُوْا الْمَرِيْضَ

আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বন্দী আযাদ কর, ক্ষুধার্তকে আহার্য দাও এবং রুগীর সেবা-শুশ্রূষা কর। (বুখারী ৩০৪৬.৫১৭৪, ৫৩৭৩, ৫৬৭৯, ৬১৬৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৯)

এ আয়াতে (ও হাদীসে) বন্দী বলতে কাফের হোক বা মুসলিম, যুদ্ধবন্দী হোক বা অপরাধের কারণে বন্দী হোক সব রকম বন্দীকে বুঝানো হয়েছে। বন্দী অবস্থায় তাদেরকে খাদ্য দেয়া, মুসলিম কিংবা অমুসলিম, সর্বাবস্থায় একজন অসহায় মানুষকে-যে তার খাবার সংগ্রহের জন্য নিজে কোন চেষ্টা করতে পারে না- খাবার দেয়া অতি বড় সওয়াবের কাজ। [দেখুন: কুরতুবী]

 হাদিসে এসেছে, ‘যে মুমিন অন্য মুমিনকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় পানাহার করায় কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফলমূল আহার করাবেন। আর যে মুমিন পিপাসাকাতর কোনো মুমিনের তৃষ্ণা নিবারণ করে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে মোহরাঙ্কিত পানীয় পান করাবেন।

আর যে মুমিন বস্ত্রহীন কোনো মুমিনকে বস্ত্র পরিধান করাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সবুজ রঙের পোশাক পরিধান করাবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৪৯)

অন্যকে নতুন পোশাক দেওয়া যেমন সওয়াবের তেমনি কারো কাপড় পুরাতন হয়ে গেলে তা অন্যকে পড়ার জন্য দেওয়া বা দান করারও বিশেষ সওয়াব রয়েছে। এক হাদিসে হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নতুন কাপড় পরিধান করলেন এবং এই দোয়াটি পড়লেন‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা উয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি’, অর্থাৎ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পোশাকটি পরিধান করিয়েছেন। যার দ্বারা আমি সতর আবৃত করতে পারি এবং আমার জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে পারি।’

এরপর তিনি বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি‘যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরিধান করে এই দোয়া পাঠ করে এবং ব্যবহৃত পুরনো কাপড়টি সদকা করে দেয়, সে দুনিয়া এবং আখেরাতে আল্লাহর নজরে, আল্লাহর হেফাজতে এবং আল্লাহর আবরণে অবস্থান করে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৬; মেশকাত, হাদিস, ৪১৭৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 জ্বী! সহিহ নিয়তে আল্লাহকে খুশী করার জন্য আপনার পছন্দের পোশাক দান করলে অবশ্যই আপনি সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...