আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
১/আসসালামু আলাইকুম!
জুয়েনা আক্তার লাবনী নামের অর্থ কি.?

২/ বুকের দুধ জামায় লাগলে নামাজ হবে?

৩/আসসালামু আলাইকুম
আমার কোনো পরিচিত ছেলে মানুষ যদি আমার  বাসায়  বেরাতে আসতে চায়,আর তা শুনে যদি আমি  বলি  আমার বাসায় আসবেন না তাহলে কি গুনাহ হবে.?

আমার বাসায় ছেলে/মাহরাম আছেন।আমার দাদা আর বাবা।
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_240828_100738_019.sdocx-->

৪/ এক বোনের প্রশ্ন

এক বোনের হাসবেন্ড তার মামাতো বোনের সাথে পরকীয়া করে।এখন করনীয় কি? আপুটা বলতেছে ওনাদের মাঝে কোনো কিছু হয়েছে নিশ্চই।উনি তার বোনকে বলতেছে আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। উনি ওনার ওয়াইফকে বলতেছেন তোমার শরীর আমার ভাল্লাগেনা।এখন আপুর করনীয় কি? ওনার ছোট একটা মেয়ে আছে ২ বছর হয়নাই।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জুয়েনা নামের অর্থ যোগ্য, মৌলিক। এছাড়াও জুয়েনা নামের অন্য একটি প্রতিশব্দ হলো মৌলিকতা, যোগ্যতা, সাধনার অবশেষ। আর লাবনী নামের অর্থ লক্ষ্য, লক্ষ্য, প্রায়। 

সুতরাং উক্ত নাম রাখা যাবে।

(২)
মহিলার বুকের দুধ নাপাক নেয়। সুতরাং বুকের দুধ বের হয়ে কাপড় বা শরীরে লাগলে, উক্ত কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।
لما في الفتاوی الشامية:
"(كما) لا ينقض (لو خرج من أذنه) ونحوها كعينه وثديه (قيح) ونحوه كصديد وماء سرة وعين (لا بوجع) وإن خرج (به) أي بوجع (نقض) لأنه دليل الجرح، فدمع من بعينه رمد أو عمش ناقض، فإن استمر صار ذا عذر مجتبى، والناس عنه غافلون."(سنن الوضوء جلد1 ص:147 ط: سعید)

(৩)
যেহেতু আপনার বাসায় ছেলে/মাহরাম আছেন।তথা আপনার দাদা আর বাবা বাসায় আছেন, এখন যদি ফিতনার কোনো আশংকা না থাকে, তাহলে আপনার জন্য ঐ গায়ের মাহরাম ভাইকে বাধা প্রদান উচিৎ হবে না। নতুবা আপনি বাধা দিতে পারবেন।

(৪)
আমি আপনার ঐ বোনকে বিশেষ কয়েকটি নসিহত করবো-
(ক)
আপনার স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কে অন্য কাউকে জানাবেন না।কেননা গোনাহে গোপন রাখা ওয়াজিব।তাই গোপন রাখার চেষ্টা করুন।

(খ)
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।

(গ)
তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।

এসবের পরেও যদি কোনো প্রকার ফায়দা না হয় তথা যদি স্বামী পরকিয়া থেকে বিরত না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর সামনে দু'টি পথ থাকবে-

(এক)
হয়তো আপনি ঐ মহিলাকে বিয়ের কথা বলুন।

(দুই)
স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে বা খূলা করতে পারবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1205


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...