আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
মুহতারাম মুফতি সাহেব,
০১। ঈসা আ. শুকর হত্যা করবেন? বর্তমানে শুকর হত্যার বিধান কী?
০২। রুকইয়ার(শরিয়ত সম্মত) ক্ষেত্রে দেখা যায়, কারো ফুঁ তে কাজ হয় আবার কারো ফুঁ তে কাজ হয় না। এটার কারণ কী?
০৩।হজের মাস তিনটি। অথচ আমরা দেখি জিলহজ্জ মাসেই কেবল হাজ  করা হয়। বিষয়টা আসলে কী?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শেষ জামানায় হযরত ঈসা (আঃ) আগমণ করে ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ করবেন। আল্লাহর কিতাব এবং আমাদের নবীর সুন্নাত দিয়ে বিচার-ফয়সালা করবেন। সেই সময়ে ইসলাম ছাড়া বাকী সমস্ত মতবাদ মিটিয়ে দিবেন। এ জন্যই তিনি খৃষ্টান ধর্মের প্রতিক হিসেবে ব্যবহৃত ক্রুশচিহ্ন ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর হত্যা করবেন, ইহুদী-খৃষ্টানদের কাছ থেকে জিয্য়া গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করবেন। ইসলাম অথবা হত্যা ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না। মোটকথা এই শরীয়তকে নতুনভাবে সংস্কার করার জন্য এবং সর্বশেষ নবীর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি পৃথিবীতে আগমণ করবেন।[

তাযকিরা- লিল ইমাম কুরতুবী (২/৭৯২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত :

حدثنا إسحاق أخبرنا يعقوب بن إبراهيم حدثنا أبي عن صالح عن ابن شهاب أن سعيد بن المسيب سمع أبا هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي نفسي بيده ليوشكن أن ينزل فيكم ابن مريم حكما عدلا فيكسر الصليب ويقتل الخنزير ويضع الجزية ويفيض المال حتى لا يقبله أحد حتى تكون السجدة الواحدة خيرا من الدنيا وما فيها ثم يقول أبو هريرة واقرءوا إن شئتم وإن من أهل الكتاب إلا ليؤمنن به قبل موته ويوم القيامة يكون عليهم شهيدا

অর্থ: ”আবু হুরায়রা হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, হযরত রসূলে করীম (সা:)বলিয়াছেন, যাহার আয়ত্তাধীনে আমার প্রাণ আমি তাহার শপথ করিয়া বলিতেছি, অচিরে তোমাদের মধ্যে ইবনে-মরিয়ম নাজেল হইবেন ন্যায়-বিচারক মীমাংসাকারীরুপে, তৎপর তিনি শূকর হত্যা করিবেন, জিজিয়া কর উঠাইয়া দিবেন, এমনভাবে মাল দান করিবেন যাহা কেহই গ্রহণ করিতে পারিবে না, এমনকি একটি সেজদা দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যস্থিত সকল বস্তু হইতে উৎকৃষ্ট হইবে। তৎপর হযরত আবু হুরায়রা বলিলেন, তোমরা ইচ্ছা করিলে কোরআনের এই আয়াতটি পাঠ করিতে পার, – “প্রত্যেক আহলে কিতাব ইহা বিশ্বাস করিবে তাহার মৃত্যুর পূর্বে এবং তিনি কিয়ামতের দিনে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবেন।
(বুখারী শরীফ, কিতাবুল আম্বিয়া, বাব-নুযুলে ঈসা ইবনে মরিয়ম, হাদীস নং- ৩২৬৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঈসা আ. শুকর হত্যা করবেন।
বর্তমানে শুকর হত্যার বিধান হলো এটা যদি হিংস্র প্রানীর ন্যায় ক্ষতিকর হয়,সেক্ষেত্রে হত্যা করা যাবে,অন্যথায় যাবেনা।

(০২)
এটা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ দান,রহম,দয়া।
আবার অনেক সময় সারাজীবন জবানকে মিথ্যা,চোগলখোরি, অন্যায় কথাবার্তা থেকে বেঁচে রাখতে পারলে,পূর্ণ শরীয়তের উপর চলতে পারলে ও হারাম থেকে বেঁচে থাকতে পারলে কখনো কখনো এই যোগ্যতা অর্জন হয়।

(০৩)
ইসলামের বিধান অনুসারে হজের মাস হলো তিনটিঃ-
শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ।

হজের সময় শুরু হয় শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং শেষ হয় যিলহজের দশ তারিখে তথা ঈদের দিনে বা যিলহজের শেষ তারিখে। এটাই বিশুদ্ধ মত। কেননা আল্লাহ বলেন,

﴿ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞ﴾ [البقرة: ١٩٧]

“হজের মাসসমূহ সুনির্দিষ্ট জানা।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৭] 

এখানে বহুবচনأشهر শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হাকীকী অর্থে ব্যবহার হবে। অর্থাৎ এ তিনটি মাসে হজের কাজ চলবে। 

এ কথার অর্থ এটা নয় যে, এ তিন মাসের যে কোনো দিনে হজের কাজ করতে হবে। 

অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথমেই কেউ যদি হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধে এবং তাওয়াফ সা‘ঈ করে, তবে তা হজের জন্যই হলো। কিন্তু আরাফাহ,মুযদালিফায় অবস্থান,পাথর নিক্ষেপ,হলক ইত্যাদি কাজ জিলহজ্জ মাসের তার নির্দিষ্ট সময়েই আদায় করতে হবে।

পূর্বে মূলত শাওয়ালের আগে থেকেও অনেকে হজ্বের ইহরাম বাধতো।
তাই কুরআনে আল্লাহ তায়ালা হজ্বের মাস নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যে এই মাস গুলো আগে হজ্বের ইহরাম বাধা যাবেনা।

হজ্বের মাস শুরু হওয়া মাত্র হজ্বের জন্য ইহরাম বাধা,ও তওয়াফ জায়েজ আছে।

তবে হজের বুনিয়াদি কাজ অর্থাৎ আরাফাহ,মুযদালিফায় অবস্থান,পাথর নিক্ষেপ,হলক ইত্যাদি কাজ জিলহজ্জ মাসের তার নির্দিষ্ট সময়েই আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...