আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in সালাত(Prayer) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.রংপুর আমার বাসা।জামাইয়ের পোস্টিং সিলেট।এজন্য রংপুর থেকে সিলেটের জন্য রওনা হই।গাড়িতে আসর মাগরিব এশা কাজা হয়।এগুলো কি কসর এর নামাজ হিসেবে কাজা আদায় করব নাকি ৪ রাকাত করে ফরজ গুলো আদায় করব??
২.মাসের ৫/৬ দিন সাদা স্রাব অনেক বেশি আকারে হয়।তারপর সাদা স্রাব খুব অল্প বা একদম নাই এরকম  দেখা যায়।  এক নামাজ পড়ে অন্য নামাজের ওয়াক্ত হওয়ায় অই একই অযু দিয়ে পরের ওয়াক্তের নামাজ যদি পড়ি এবং নামাজ শেষে  বাথরুম গিয়ে যদি চেক করে দেখি যে সাদা স্রাব নাই তাহলে নামাজ হবে??
৩.এখন সাদা স্রাব তেমন নাই বললেই চলে।যুহর পড়ে উযু ছিল বিধায় সেই অযু দিয়ে আসর পড়েছি।আসর শেষে বাথরুম গিয়ে দেখি সাদা স্রাব এর রাস্তার বাহিরের দিকে সাদা স্রাব নেই কাপড়েও সাদা স্রাব লাগে নি কিন্তু ভিতরের দিকে হাত দিয়ে চেক করলে সামান্য পিচ্ছিল হাতে লাগে।এতে কি আমার আসরের নামাজ হয়েছে??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সফরের সময় যেই নামায কাযা হয়েছে, সেগুলোর কাযা যখন আদায় করবেন, তখন কসর করেই কাযা আদায় করবেন।


(২)
সর্বদা কুরসুফ করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এক নামাজ পড়ে অন্য নামাজের ওয়াক্ত হওয়ায় অই একই অযু দিয়ে পরের ওয়াক্তের নামাজ যদি পড়া হয়, এবং নামাজ শেষে বাথরুম গিয়ে যদি চেক করে দেখা যায় যে, সাদা স্রাব নাই, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
যুহর পড়ারর পর সেই অযু দিয়ে যদি আসর পড়া হয়।আসর শেষে বাথরুম গিয়ে দেখা যায় যে, সাদা স্রাবের রাস্তার বাহিরের দিকে সাদা স্রাব নেই কাপড়েও সাদা স্রাব লাগেনি কিন্তু ভিতরের দিকে হাত দিয়ে চেক করলে সামান্য পিচ্ছিল হাতে লাগে। এতেকরে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।তবে জ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-
(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-
সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। (মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে আবেদীন-১/৮৪-৮৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...