আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমি সহশিক্ষা নিয়ে সবগুলো প্রশ্ন এবং উত্তর পড়েছি। চাকরির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ।জানতে চাচ্ছিলাম জরুরত ছাড়াও শর্ত পূরণ করে জায়েজ হবে কিনা?

১। যদি কারও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির অফার আসে এবং যেখানে তার অন্য সুযোগ আছে অর্থ উপার্জনের, কিন্তু শুধু অভিজ্ঞতা অর্জন বা সনদের লক্ষ্যে কি সেই চাকরি করা যাবে? যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কো-এডুকেশন হয়!
২। আমার এক ভাই বাংলাদেশ ব্যাংক এর ক্যাশ অফিসার পদে নিয়োগ (অফার লেটার) পেয়েছেন। তিনি বাতিল যোগ্য টাকা সর্টিং করবেন। উনাদের বাংলাদেশ ব্যাংক প্রফিট করলে ইনসেনটিভ এর ব্যবস্থা আছে।
বলা বাহুল্য উনি হাইকোর্টের প্রটকল অফিসার পদে কর্মরত আছেন।
এমতাবস্থায় তার কী করণীয় ? তিনি কি ব্যাংক জবে ঢুকবেন ? নাকি বর্তমান জবে থেকে যাবেন।
বিস্তারিত পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ?

1 Answer

0 votes
by (58,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/8048/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-

 

১-হারাম কাজে সহায়তা করা।

২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

 

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়। বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু সুদী কর্মকান্ডের সাথ জড়িত, তাই বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম।

তার বেতন হারাম।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০]

 

হাদিস শরিফে এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়, যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না। যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়, তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/398


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. জ্বী, সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু তার আর্থিক সমস্যা নেই, তাই উক্ত মহিলার জন্য বাহিরে গিয়ে চাকুরী করা উচিত নয়।

তারপরেও যদি সে অভিজ্ঞতা অর্জন বা সনদের জন্য যায়, তাহলে অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে যেতে হবে। 

বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/5338/

২. সুদী ব্যাংকে চাকরী না নেওয়ার ব্যাপারেই আমাদের পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (16 points)
উস্তায ১নং প্রশ্নটা ছেলেদের ক্ষেত্রে যদি বলতেন।যে কোনো ছেলের ক্ষেত্রে বিধানটা কি হবে?
আফওয়ান উস্তায ক্ষমা করবেন,আমার প্রথমেই উল্লেখ করে দেওয়া উচিত ছিল।


by
উস্তায উত্তরটা জানা জরুরি। ১নং প্রশ্নের উত্তর টা ছেলেদের ক্ষেত্রে কি হবে অনুগ্রহ করে যদি জানাতেন উস্তায।
ভুলত্রুটি মাফ করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 177 views
...