ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/17471/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম। শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি
দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে। যদিও শরয়ী কিছু ওযরের
কারনে বিশেষ শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ।
তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই
শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।
পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে
لَّعْنَتَ
اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি
যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
হাদিস শরিফে এসেছে, সাফওয়ান ইবন
সুলাইম বলেন,
قِيلَ
لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ،
فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ
لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস
করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস
করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা
মালিক ২/৯৯০) অর্থাৎ মুমিনের বিভিন্ন চারিত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তবু সে মিথ্যা
বলতে পারে না।
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে
আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/4537/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াটা জায়েজ হবে না।
বরং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্যবস্থা করবেন। অন্য কোনো ভাবে সত্য কথা বলে ছুটি
নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বা তার আম্মু যেই জায়গায় চাকরী করেন প্রয়োজনে তার একেবারে
পাশেই সম্ভব হলে কয়েক মাসের জন্য বাসা ভাড়া নিতে পারেন। অথবা তাদের আত্মীয়দের কারোর
মাধ্যমেও উনার খেদমতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে পারেন।